বয়ফ্রেন্ড পাচ্ছেন না যে ‘সুন্দরী’!
বয়ফ্রেন্ড জুটছে না কেলির? উত্তরটা সহজ। আসলে কেলি একজন রূপান্তরকামী।
নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলতে এখনও পর্যন্ত প্রায় একশোটি অস্ত্রোপচার করিয়েছেন কেলি। খরচ করেছেন আড়াই লাখ ডলার।
কেলির আসল নাম মাইকেল ট্যানহাম। অস্ট্রেলিয়ার পার্থের একটি খ্রিস্টান পরিবারে বড় হয়েছেন তিনি। খেলাপাগল মাইকেল কৈশোরে একটি চার্চে ধর্মযাজকের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। স্তনের প্রতি তার মারাত্মক আকর্ষণ রয়েছে। নিজের শরীরেও স্তন চান তিনি। তিনি যে পুরুষ হয়ে বড় হওয়ার জন্য জন্মাননি, বুঝতে অসুবিধা হয়নি কেলির। এর পরেই তার রূপান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এখন কেলির ৪৬ বছর বয়স। কেলির দাবি, অস্ট্রেলিয়ায় সবথেকে বড় ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্টেশন তারই হয়েছে। একটি বিখ্যাত সংবাদপত্রকে কেলি জানিয়েছেন, প্রথমে তার এই রূপান্তর মেনে নেয়নি তার পরিবার। ১৬ বছর বয়সেই লুকিয়ে লুকিয়ে ফিমেল গ্রোথ হরমোন নিতে শুরু করেন তিনি। ১৮ বছর বয়সে শুরু হয় পুরুষ থেকে নারী হওয়ার চিকিৎসা। বহু বছরের চেষ্টায় ঠোঁট, স্তন, যৌনাঙ্গ পেয়েছেন কেলি। কিন্তু কেলির কথায়, শতাধিক অস্ত্রোপচারের পরে তার নিজের মতে, স্তন দু’টিকেই নিখুঁতভাবে তৈরি করতে পেরেছেন তিনি।
কিন্তু এত কিছুর পরেও নিজের মনের মানুষটিকে খুঁজে পাননি কেলি। ‘সুন্দরী’ কেলির কথায়, অনেক পুরুষই তার সঙ্গে একটি রাত কাটাতে চেয়েছেন। কিন্তু তিনি রূপান্তরকামী হওয়ায় কেউই সাহস করে তাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেওয়ার সাহস দেখাতে পারেননি। ২০০৫ সালে তার শেষ সম্পর্কটি ভেঙেছিল। তার পরে আর কারো সঙ্গে মনের লেনদেন হয়নি কেলির।
মন্তব্য চালু নেই