আদালতের আদেশ অমান্য করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার ওসি রুপক কুমার সাহাসহ আট পুলিশ সদস্যকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।

বাকি সাত পুলিশ সদস্য হলেন- ওই থানার এসআই আ. আলিম, পুলিশ সদস্য শাহ আলম, মোতালেব, শাহাদত, মহির, করিম ও মান্নান।

আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় তাদের আদালতে হাজির হয়ে আদালত অবমাননার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।

মঙ্গলবার বিচারপতি মো. এমদাদুল হক আজাদের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. জাফর আলী।

আইনজীবী জাফর আলী জানান, ২০১১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার মনেজা খাতুন তার প্রাক্তন স্বামী মো. সালাউদ্দিনের খোরপোষ ও মোহরানা দাবি করে জেলার সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতে মামলা দায়ের করেন।

শুনানি নিয়ে আদালত ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর মনেজা খাতুন ও তার দুই নাবালক কন্যার অনুকূলে ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা দিতে আদেশ দেন।

পারিবারিক আদালতের এই আদেশের বিরুদ্ধে মো. সালাউদ্দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা আদালতে আপিল দায়ের করেন। জেলা আদালত সালাউদ্দিনের আপিল খারিজ করে দিয়ে পারিবারিক আদালতের আদেশ বহাল রাখেন।

এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন মামলা দায়ের করেন সালাউদ্দিন। হাইকোর্ট ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর নিম্ন আদালতের আদেশসহ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন।

আইনজীবী জাফর আলী জানান, হাইকোর্টে মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকার পরও গত ১১ নভেম্বর মো. সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে সরাইল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় সরাইল থানা পুলিশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়।

এ বিষয়ে শুনানি শেষে আদালত মঙ্গলবার সরাইল থানার ওসিসহ আট পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার দায়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- মর্মে রুল জারির পাশাপাশি তলব করেন।