ব্যাবিলনের শূন্যদ্যান সম্পর্কে অজানা তথ্য !

পৃথিবীর সবচাইতে প্রাচীন সপ্তাশ্চার্য গুলোর মধ্যে একটি। হাজারো রহস্যে ঘেরা ব্যবিলনের শূন্যদ্যান বা ঝুলন্ত উদ্যান। এটাকে ঝুলন্ত উদ্যান বলার কারন হচ্ছে এর ভিত্তি স্থাপন করার পর মাটি থেকে এর উচ্চতা দাড়িয়েছিল ৮০ ফুট।

প্রাচীন তথ্যাদি হতে জানা যায় এটি প্রায় ৪০০ফুট দৈর্ঘের ও ৪০০ ফুট প্রস্থের ছিল। কথিত আছে এটি রাজা নেবুচাঁদনেজার তার রানী আমিতিসের মনোরঞ্জনের উদ্দ্যেশ্যে তৈরি করেন। এ ও জানা যায় উদ্যানটি সম্রাটের উপাসনালয়ের ছাদে নির্মান করা হয়েছিল। এটি ছিল পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বাগান এবং মানুষের তৈরি পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দর ও চমকপ্রদ বাগান।

ঝুলন্ত উদ্যান সম্পর্কে কিছু চমকপ্রদ তথ্যঃ

১. ঝুলন্ত উদ্যানের কোন অস্তিত্ব নেই কিন্তু এটি পৃথিবীর প্রধান সপ্তাশ্চার্যের একটি।

২. ব্যবিলনের শুন্যদ্যানের আজ পর্যন্ত কোন অস্তিত্ত্ব পাওয়া যায়নি কিন্তু এটি থাকার কিছু পৌরানিক প্রমান পাওয়া যায়।

৩. বিভিন্ন রোমান এবং গ্রিক সাহিত্যিকগণ বাগান সম্পর্কে প্রচুর লেখা লিখেছেন। এবং ইহা কে, কেন, কার জন্য, আকৃতি এবং কোথায় তৈরি করা হয়েছিলো এসব তথ্যও তাদের লিখা হতেই জানা যায়।

৪. তবে রাজা ২য় নেবুচাঁদনেজার তার স্ত্রীকে খুশী করতে এটি তৈরি করেন এ সম্পর্কে সবচাইতে বেশি ইতিহাসবীদ ও কবি সাহিত্যিক একমত হয়েছেন।

৫. রাজা ২য় নেবুচাঁদনেজার খ্রিস্টপুর্ব ৬০সালে (সময়কাল ৪৩ বছর) এটি তৈরি করেন।

৬. ব্যাবিলনের শূন্য উদ্যান বা ঝুলন্ত বাগান ইরাকের ইউফ্রেটিস নদীর তীরে খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ অব্দে নির্মিত হয়।

৭. জানা যায় প্রায় ৪০০০ শ্রমিক রাতদিন পরিশ্রম করে তৈরি করেছিল এই বাগান। বাগান পরিচর্যার কাজে নিয়োজিত ছিল ১০৫০ জন মালী।

৮.৫ থেকে ৬ হাজার প্রকার যুলের চারা রোপণ করা হয়েছিল এই ঝুলন্ত বাগানে।

৯. ৫১৪ খ্রিস্টাব্দে পার্শ্ববর্তী পারস্য রাজ্যের সাথে এক ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে এই সুন্দর উদ্যানটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়।

১০. বাগানে প্রতিদিন বিরাশী হাজার গ্যলন পানি প্রয়োজন ছিল যা একটি পাইপের সাহায্যে জলাশয় হতে তোলা হতো।



মন্তব্য চালু নেই