ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়েই প্রধানমন্ত্রীকে টুইট : জবাব পেলেন অসহায় তরুণী?
বাড়িতে বাবার ক্যান্সার। কিন্তু ব্যাঙ্কের লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে বাবার চিকিৎসার জন্য টাকাও তুলতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে টুইট করে নিজের অসহায়তার কথা জানালেন আগ্রার বাসিন্দা ২৫ বছরের এক তরুণী। একই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবকেও টুইট করেছেন তিনি।
একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, জুহি প্রকাশ নামে ওই তরুণীর বাবা মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত। কিন্তু বাড়িতে জুহি ছাড়া তাঁর বাবাকে দেখার কেউই নেই। জুহির মা তিন বছর আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েই মারা যান। ফলে বাবাকে সুস্থ করে তুলতে মরিয়া এই তরুণী। জুহিদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা একসময়ে ভালই ছিল। বাবার জুতোর ব্যবসাও ভাল চলত। কিন্তু মায়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে পরিবারটি সর্বস্বান্ত হয়। জমানো সব টাকাই জুহির মায়ের চিকিৎসার পিছনে খরচ হয়ে গিয়েছে। জুহির দুই ভাইয়ের মধ্যে একজন অসুস্থ হয়ে হরিদ্বারের একটি আশ্রমে চিকিৎসাধানী। আর এক ভাই বেসরকারি চাকরি করেন। তাঁর পক্ষেও অফিস কামাই করে ব্যাঙ্কে লাইন দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, তাঁর উপার্জনেই এখন সংসার চলে। ওই তরুণীর দাবি, ব্যাঙ্কের লাইনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়, যেহেতু বাড়িতে তাঁর বাবাকে দেখার কেউ নেই। টাকার অভাবে বাবার অস্ত্রোপচার করানো যায়নি। কিন্তু ওষুধের পিছনে মাসে ছয় থেকে সাত হাজার টাকা খরচ হয়। সেই টাকাও এখন ব্যাঙ্ক থেকে তুলতে পারছেন না তিনি। বাধ্য হয়েই তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের সাহায্য চেয়েছেন জুহি।
ভাল কাজ করতে গেলে একটু কষ্ট সহ্য করতে হবে বলে বারবারই অনুরোধ করছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু দেশে দুর্নীতি কমানোটা যেমন প্রয়োজন, জুহির কাছে তাঁর বাবার ওষুধের জন্য টাকা তোলাটাও একই ভাবে প্রয়োজনীয়। ফলে দেশের ভালর সঙ্গে এক অসহায় তরুণীর পাশে কি দাঁড়াবেন প্রধানমন্ত্রী? রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে নিজের রাজ্যের বাসিন্দা জুহির সাহায্যে কি এগিয়ে আসবেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব? সেটাই এখন দেখার।
প্রধানমন্ত্রী বা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে সাহায্য করবেন কি না জানা নেই। কিন্তু টুইটারে এই জুহির সমস্যার কথা জেনে অনেকেই তাঁকে সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
মন্তব্য চালু নেই