‘ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে ভারত হয়ে নেপাল-ভুটান যেতে পারবেন’

ব্যবসায়ীরা ভারত হয়ে নেপাল ও ভুটানেও যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মাতলুব আহমেদ।

রোববার বিকেলে রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের একটি প্রতিনিধিদলের ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি একথা বলেন।

প্রতিনিধিদলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন, বিজিএমইএ’র সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম, এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. সফিউল ইসলাম, ডিসিসিআই’র সভাপতি হোসেন খালেদ, এমসিসিআই’র সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, চট্রগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, ইন্দো-বাংলা চেম্বারের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, বরিশাল চেম্বারের সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টুসহ সব বিভাগীর চেম্বারের সভাপতি।

সাক্ষাতের শুরুতেই ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদলটি দুই দেশের মধ্যকার দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য, নিরাপত্তা, শিক্ষা, পরিবেশ, সীমান্ত ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ১৯ চুক্তি, প্রটোকল ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদীকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, উল্লেখিত প্রটোকল স্বাক্ষরের ফলে বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বি-পাক্ষিক ব্যবসা ও বিনিয়োগ এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। এর ফলে এখন থেকে এদেশীয় ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতের যেকোন স্থানে নির্বিঘ্নে যেতে পারবেন। ব্যবসায়ীরা ভারত হয়ে নেপাল ও ভুটানেও যেতে পারবেন। এতে করে ব্যবসার নতুন নতুন সুযোগ ও সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে এবং সংশ্লিষ্ট দেশের ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন। এই সংযোগ এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার কারণে বাংলাদেশসহ এতদঅঞ্চল ব্যবসা ও রাজনীতির ক্ষেত্রে শীর্ষ অঞ্চল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে বলে মাতলুব মত প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ভারতের বেসরকারিখাতের বিনিয়োগ এদেশের নির্ধারিত গুরুত্বপূর্ণ খাতসমূহ এবং বিভিন্ন অঞ্চলে আকর্ষণের জন্য প্রাইভেট সেক্টর জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা যেতে পারে এবং এই কমিটি রপ্তানি বৃদ্ধি ও এর মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস করতে সমর্থ্য হবে। এই কমিটির কার্যক্রম সুচারুভাবে সম্পাদনের জন্য দু’দেশের সরকার কো-কনভেনারদের মনোনয়ন দিতে পারেন।

বিজিএমইএ সভাপতি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিজিএমইএ’র অনুকুলে ৫০ একর জমি প্রদানের অনুরোধ জানান। তিনি বলেন যে, এই জমি পেলে বিজিএমইএ’র সদস্য ও অন্যান্যরা ২৫ মিলিয়ন ডলার নিয়ে ভারতে একটি কোম্পানি গঠন করবে এবং সেখানে ভারতের বৃহত্তম ওয়্যারহাউজ ও ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার স্থাপন করবে।

এছাড়া বিজিএমইএ ভারতে ১০০০ রিটেইল শপও স্থাপন করবে। এসব করা হলে দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্যিক ঘাটতি অনেকাংশে কমবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। বিজিএমইএ সভাপতি বাংলাদেশি পোশাকের ওপর ভারত সরকার আরোপিত কাউন্টারভেইলিং ডিউটি (সিভিডি) প্রত্যাহারকরন ও বাংলাদেশ থেকে বেশি বেশি তৈরি পোশাক আমদানির অনুরোধ জানালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী তা বিবেচনার আশ্বাস দেন।

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ধৈর্যসহকারে এফবিসিসিআই প্রতিনিধিদলের বক্তব্য শোনেন। তিনি এফবিসিসিআই প্রতিনিধিদলকে ধন্যবাদ জানান এবং তাদের প্রস্তাবগুলো ত্বরিত বিবেচনা করবেন বলে আশ্বাস দেন।



মন্তব্য চালু নেই