ব্যক্তি মানুষ এবং বাবা সবমিলিয়েই আমি আনিসুর রহমান মিলন

গত বছরের ২২ ডিসেম্বর ছিল জনপ্রিয় অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলনের পুত্র মিহিরাব রহমান-এর ৪র্থতম জন্মদিন। আর এজন্য তিনি অভিনয়সহ অন্যান্য ব্যস্ততাকে দূরে রেখে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর পাড়ি জমিয়েছিলেন সুদূর যুক্তরাষ্ট্রের লসঅ্যাঞ্জেলেস-এ। সেখানে তাঁর স্ত্রী ও সন্তান বসবাস করেন।

প্রায় একমাসের বেশি সময় সেখানে অবস্থান শেষে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন তিনি। এদিকে মিলন একদেশে আর পরিবার ভিনদেশে থাকায় মিলনের অবয়বটা দেশে থাকলেও মনটা পরে থাকে পরিবারের কাছে সূদুর যুক্তরাষ্ট্রে। তারপরও বাস্তব জীবনকে তো মেনে নিতে হবে।

পৃথিবীতে যত মানুষ আছে, তারা কোন না কোন কাজ করবে এটাই নিয়ম। কিংবা যে সময়গুলো তার জীবন থেকে অতীত হয়ে যাবে, সেগুলো তো আর ফিরে আসবে না। তবে এ জীবনে তার নিজের আপন কিছু না কিছু তো লাগবেই। সেরকমই আমার কাছে পরিবারের অন্যান্য সবার মত আমার স্ত্রী ও সন্তানকে একটু বেশিই আপন মনে হয়। আর একটি বিষয়, আমি চাইলেই তাদের কাছে চলে যেতে পারি না।

আর নিজেকে তখনই সময় দেওয়া মানে নিজের ভাল লাগার জন্য সময় দেওয়া। আমি আমার একটা সময় গিয়ে সন্তানের সাথে কাটিয়ে আসি। আমার ৩৬৫ দিনের কর্মব্যস্ততার মধ্যে ৩০ দিন আমার সন্তানের প্রাপ্য থাকে। প্রত্যেকটা মানুষের ক্ষেত্রে কাজের ভীড়ে বছর শেষ হয়ে যায়। সেখানে যদি তার শান্তির সময়টা হয় তার পরিবারের সাথে কাটানো, তখন সেটি পরবর্তী সময়ে তার জন্য ভাল একটি কাজের ক্ষেত্র তৈরি করে দেয়। সন্তানের প্রতি বাবার যে স্নেহের জায়গা, বা দায়িত্ববোধের জায়গা তা পালন করতে হয় মন থেকে।

সবমিলিয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে আমি যখন আমার পরিবারের সাথে সময় কাটানোর জন্য যাই, সেটি একেবারে আমার নিজের জন্যই যাই। মানুষ তো পৃথিবীতে সারাজীবন থাকবে না। সেদিক থেকে চিন্তা করলে এটি আমার সময়। ব্যক্তি মানুষ, বাবা সবমিলিয়েই তো আমি। – এমন ভাবেই নিজের ব্যক্তিস্বত্বাকে উপস্থাপন করলেন জনপ্রিয় অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন।

এদিকে মিলন ছোট পর্দার গণ্ডি পার হয়ে তিনি এখন বড় পর্দায় নিজের অবস্থানটা আরো শক্ত করার প্রতিযোগিতায় দৌঁড়াচ্ছেন। তিনি বর্তমানে ‘রাজনীতি’, ‘ওয়ান ওয়ে’, ‘ক্রাইম রোড’, ‘রাত্রীর যাত্রী’ও ‘নাইওর’ ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই