বৈষম্য দূর করা না হলে ভাতা প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা সাতক্ষীরার মুক্তিযোদ্ধাদের
ভাতা বাড়ানোর নামে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি ও ৭৫ ভাগ মুক্তিযোদ্ধার সাথে বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাতক্ষীরা জেলা ইউনিট কমান্ড। রোববার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা ইউনিট কমান্ড কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সৃষ্ট বিভাজন ও বৈষম্য দূর করা না হলে ভাতা প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন সব বয়সের মুক্তিযোদ্ধারা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রয়োজনে এ বছর ভাতা না বাড়ালেও চলবে, কিন্তু ভাতা বাড়াতে হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতির পূর্ণ বাস্তবায়ন করে সকল মুক্তিযোদ্ধার ভাতা সমানভাবে বাড়াতে হবে। অন্যাথায় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও অনশন কর্মসূচি ছাড়াও কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এসময় উপস্থিত সব বয়সের মুক্তিযোদ্ধা হাত তুলে সমানভাবে ভাতা না বাড়ালে ভাতা প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন এবং অবিলম্বে বাজেটে সংশোধনী এনে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা সমানভাবে বাড়ানোর দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাতক্ষীরা জেলা ইউনিট কমান্ডার মোশারফ হোসেন মশু। উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার আবু বকর ছিদ্দিক, সহকারী কমান্ডার ও সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর এমএ ওয়াহেদ, সহকারী কমান্ডার এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার আবুল হোসেন, সহকারী কমান্ডার মশিয়ার রহমান, সহকারী কমান্ডার আনছারুল্লাহ, সদর উপজেলা ইউনিটের কমান্ডার হাসানুল ইসলাম, আশাশুনি ইউনিট কমান্ডার আবু হেলাল, তালা ইউনিট কমান্ডার মফিজ উদ্দিন, আব্দুল করিম, ডা. শেখ আবুল হোসেন, শাহিন আজাদসহ দেড় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা।
প্রসঙ্গত, চলতি বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী শুধুমাত্র ৬৫ বছর বয়সী মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি করে ১০ হাজার টাকা করার ঘোষণা দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন দেশের সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধারা।
মন্তব্য চালু নেই