বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে বাংলাদেশের অবনতি
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে বাংলাদেশের অবনতি ঘটেছে। গত বছর এ সূচকে ২৫তম থাকলেও ২০১৬ সালে বিশ্বের ১৩০টি দেশের মধ্যে ২২তম হয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের ১৩০টি দেশের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে আফগানিস্তান, ভারত ও পাকিস্তান। বুধবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক অ্যান্ড পিস এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
২০১৫ সালে সংঘটিত সন্ত্রাসী ঘটনার ওপর তৈরি ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসী হামলায় বিশ্বে মৃত্যুর হার কমলেও ওইসিডিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে হামলার ঘটনা ৬৫০ শতাংশ বেড়েছে। চলতি বছরের সন্ত্রাসবাদ সূচকে প্রথম অবস্থানে রয়েছে ইরাক। এরপরই আছে আফগানিস্তান, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও সিরিয়া। সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ২২তম। তবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান (চতুর্থ), ভারত (৮ম)।
গত বছর সংঘটিত সন্ত্রাসী ঘটনার ২০ শতাংশ ঘটেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকে। এ ছাড়া আফগানিস্তানে ১৪, পাকিস্তানে ৮ এবং ভারতে ৭ শতাংশ সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশে সংঘটিত হয়েছে ৪ শতাংশ সন্ত্রাসী ঘটনা। চলতি বছরের সন্ত্রাসবাদ সূচকে ৭৬টি দেশের উন্নতি ঘটলেও অবনতি ঘটেছে ৫৩ দেশের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জন্য কঠিন বছর ছিল ২০১৫ সাল। গত দেড় দশকের মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে গত বছর। এ সময় বাংলাদেশে মোট ৪৫৯টি সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ৭৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ হামলায় জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশসহ (জেএমবি) দেশীয় কয়েকটি সংগঠন জড়িত। গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় জেএমবির হামলায় বিদেশিসহ ২৯ জন নিহত হন।
সূচকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী জঙ্গি সংগঠন হিসেবে বোকো হারামকে হটিয়ে আইএসের নাম উঠে এসেছে। ২০১৫ সালে বিশ্বের ২৫০টি শহরে আইএস ৬১৪১ জনকে হত্যার দাবি করেছে। ২০১৪ সালে আইএস বিশ্বের ১৩টি দেশে হামলা চালালেও ২০১৫ সালে হামলার পরিমাণ বাড়িয়েছে। গত বছর বিশ্বের ২৮টি দেশে হামলা চালিয়েছে আইএস। তবে গত বছর সন্ত্রাসী ঘটনায় নিহতের পরিমাণ আগের বছরের চেয়ে ১০ শতাংশ কমেছে।
ইরাক এবং নাইজেরিয়ায় আইএস ও বোকো হারামের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের কারণে প্রাণহানির ঘটনা কমে এসেছে। প্রাণহানির ঘটনা কমলেও প্রতিবেশী দেশগুলোতে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো তাদের প্রভাব বৃদ্ধি করেছে।
মন্তব্য চালু নেই