বৈশাখের হাওয়া ইলিশে
বাঙালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখের বাকি আর মাত্র এক দিন। বৈশাখের হাওয়া যেন খুব বেশি লেগেছে ইলিশের বাজারে।
বাংলা নববর্ষের এক দিন আগে বৃহস্পতিবার বাজারে বিক্রেতাদের ইলিশ মাছের বেশ চড়া দাম হাঁকতে দেখা গেছে। এ দাম শুনে ক্রেতাদের চোখ কপালে ওঠার মতো অবস্থা।
ক্রেতাদের অভিযোগ, পান্তা-ইলিশের প্রধান অনুষঙ্গ ইলিশের চাহিদাকে পুঁজি করে ফায়দা নিচ্ছেন মাছ ব্যবসায়ীরা। তবে মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন উল্টো কথা। তারা জানান, চাহিদা অনুযায়ী সরবারহ না থাকায় ইলিশ মাছের দাম বেশি। এদিকে ইলিশের দাম বাড়তি দেখা গেলেও গত বছরের তুলনায় ছিল কম।
মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, মার্চ-এপ্রিল ইলিশ বড় হওয়ার সময় বলে এখন পদ্মা ও মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ। এ ছাড়া বিষখালী, তেঁতুলিয়া, পায়রাসহ অন্যান্য নদী ও সাগরে নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও তেমন ইলিশ মিলছে না। তাই বাজারে বিক্রি হওয়া ইলিশের বেশির ভাগই মৌসুমে মজুত করা হিমায়িত ইলিশ। এ ছাড়াও মিয়ানমারের ইলিশের সরবরাহ রয়েছে।
তারা আরো জানান, বাড়তি লাভের আশায় নববর্ষের জন্য প্রতি বছরই ইলিশ হিমায়িত করে রাখেন আড়তদাররা। পহেলা বৈশাখের সপ্তাহখানেক আগে থেকে সেগুলো বাজারে ছাড়েন। এবারো এর ব্যতিক্রম হয়নি। গত কয়েক দিন রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতেও ইলিশের পাশাপাশি অবাধে বিক্রি হচ্ছে জাটকা ইলিশও।
এদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানের ইলিশ মাছের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। এক কেজি ওজনের ইলিশ প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা, ৭শ-৮শ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা এবং ৫শ-৬শ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। আর দেড় কেজি, দুই কেজি বা তার চেয়ে বেশি ওজনের প্রতিটি ইলিশ ৬ থেকে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
মন্তব্য চালু নেই