বৈশাখের প্রথম ঝড়ে রংপুরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, নিহত ১
বৈশাখের প্রথম ঝড়ে রংপুরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছাড়াও মহাসড়কে গাছ উপড়ে পড়ায় রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। গাছ চাপায় পীরগঞ্জ উপজেলার ঝাড়বিশলা গ্রামে সালেহা বেওয়া নামের এক বৃদ্ধা মারা গেছেন।
শনিবার বিকাল থেকে রাত সাড়ে সাতটা পর্যন্ত কয়েক দফায় এই ঝড় রংপুরের উপড় দিয়ে বয়ে যায়। বিশেষ করে রংপুরের মিঠাপুকুর ও পীরগঞ্জ উপজেলায় কৃষিপণ্যসহ গাছ-গাছালি উপড়ে পড়েছে। মাঠ পর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতির খোঁজ নিতে এরইমধ্যে কৃষি বিভাগ কাজ করছে বলে জানিয়েছে রংপুর আঞ্চলিক কৃষি অধিপ্তরের উপ পরিচালক শ ম আশরাফ আলী।
স্থানীয়রা জানান, বিকাল পাঁচটার কিছু পরে এই ঝড় শুরু হয়। জেলার বিভিন্ন উপজেলা দিয়ে ঝড় বয়ে গেলেও মিঠাপুর ও পীরগঞ্জ উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। মহাসড়কে ছোট বড় অসংখ্য গাছ উপড়ে পড়ে। কোথাও কোথাও ভেঙে পড়েছে গাছ-পালা। এতে করে রংপুর অঞ্চলের সঙ্গে ঢাকাগামী সব ধরনের যান চলাচল প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকে। স্থানীয়রা এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে সেগুলো উদ্ধার করে। পরে যান চলাচল করলেও দুর্ভোগে পড়ে মানুষজন।
এদিকে ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় মিঠাপুকুর ও পীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। এখনো সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। তবে বিদ্যুৎ বিভাগ পুনরায় বিদ্যুতের লাইন চালু করতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ এই ঝড়ে ভুট্রা, আধা পাকা ধান, পোটলসহ কৃষকের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে এরইমধ্যে স্থানীয় কৃষি বিভাগকে মাঠ পর্যায়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে কৃষি বিভাগ।
রংপুর আঞ্চলিক কৃষি কর্মকর্তা শ ম আশরাফ আলী জানান, বৈশাখী ঝড়ে কৃষকের ক্ষতি হয়েছে। কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রংপুর জেলা প্রশাসক ( ভারপ্রাপ্ত ) সুলতানা পারভীন জানান, ঝড়ে ক্ষয় ক্ষতি জানতে এবং ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই