বেড়ে গেল মাংসের দাম: ধর্মঘটে লাভবান ব্যবসায়ীরা, ঠকছে ক্রেতা

ভারতীয় গরু আমদানিতে সীমান্তে অতিরিক্ত ট্যাক্স, রাস্তায় চাঁদা, পশুর হাটে অতিরিক্ত হাসিল আদায় করাসহ নানা অভিযোগ নিয়ে ধর্মঘট পালন করলো মাংস ব্যবসায়ীরা। এতে ক্রেতাদের কোন লাভ না হলেও ব্যবসায়ীরাই লাভবান হয়েছেন। ধর্মঘটের পরপরই মাংসের দাম বড়িয়ে দেয়া হল। অতিরিক্ত খাজনাসহ নানা অভিযোগ চলাকালিন মাংসরে দাম তো স্থিরই ছিল। এমন প্রশ্ন অনেক ভোক্তার।

জানা গেছে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ছয় দিনের ধর্মঘট পালন করেন মাংস ব্যবসায়ীরা। তারা তখন জানিয়েছিলেন, তাদের ধর্মঘটের পেছনে মাংসের দাম বাড়ানোর কোনো উদ্দেশ্য নেই। বলেছিলেন, মাংস ৩০০ টাকায় বিক্রি সম্ভব। অনেক নেতা এর ব্যাখ্যাও দিয়েছিলেন। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক অনলাইন পোর্টাল এমনকি টিভির টকশোতেও ছিল মাংস বিক্রি নিয়ে আলোচনা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দেখা গেল, মাংস ব্যবসায়েিদর ধর্মঘট শেষ হতেই বাজারভেদে গরুর মাংস কেজিপ্রতি বেড়ে গেছে ৫০ টাকা, খসির মাংস ১০০ টাকা।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরু ও খাসির মাংসের দাম আগের আগের চেয়ে ১০-১৫ শতাংশ বেশি হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা। আর তাতে অনেক ক্রেতা বিস্ময় প্রকাশ করছেন। খিলগাঁও, শাহজাহানপুর, মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা ও কারওয়ান বাজারে বর্তমানে দোকানভেদে গরুর মাংস ৪৭০-৫০০ টাকা হাঁকা হচ্ছে, যা ধর্মঘটের আগে ছিল ৪৪০-৪৬০ টাকা। খাসির মাংসের দাম ৭৫০-৮০০ টাকা, যা ধর্মঘটের আগে ছিল ৬৫০-৭০০ টাকা।

এ বিষয়ে একাধিক ক্রেতা জানান, ধর্মঘটের কারণে কয়েক দিন মাংস কেনা হয়নি। বাচ্চাদের বায়না রক্ষার জন্য মাংস কিনতে এসে ধাক্কা খেলাম। আগের চেয়ে ৫০ টাকা বেশি ৫০০ টাকা দাম চাইছেন বিক্রেতা। পরে ৫০০ টাকা দিয়েই গরুর মাংস কিনতে বাধ্য হন তিনি। এখন বুঝতে পারছি ওদের ধর্মঘট ছিল লোক দেখানো। আসল উদ্দেশ্য ছিল মাংসের দাম বাড়ানো।

অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, গরুর দাম বাড়ানো হয়েছে তাই তারা বাধ্য হয়ে তারা দাম বাড়িয়েছেন। তবে কার নির্দেশে দাম বাড়ানো হলো তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি কেউ।

গাবতলী গরুর হাটের একাধিক ব্যাপারী জানান, গরুর ইজারা বাড়ানো হয়নি। গরুর হাটে এক কেজি মাংসের জন্য ১৫ থেকে ২০ পয়সা নেয়া হয়। এখনো তাই নেয়া হচ্ছে। তবে সীমান্তে পাসিংয়ের ক্ষেত্রে কিছুটা দাম বেড়েছে। এতে বাজারে মাংসের দাম বাড়ানোর মত কিছু হয়নি। তাছাড়া সীমান্ত থেকে আগের মতই গরু আসছে বলে জানান তারা।



মন্তব্য চালু নেই