বেড়েছে ফিটনেস : ৩ মাসে ২ হাজার ৭৮৫টি গাড়ি রেজিস্ট্রেশন

মহাসড়কে লাইসেন্স ও ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থা (বিআরটিএ) ও ট্রাফিক পুলিশ। রাজশাহী জেলায় ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্য ৮১৬টি। আর রেজিস্ট্রেশনসহ বিভিন্ন পরিবহনের সংখ্যা ৬১ হাজার ১৪৯টি। গত এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত তিন মাসে বিভিন্ন মামলার আগে ও পরে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে ২ হাজার ৭৮৫টির।

এ জেলায় ফিটনেসবিহীন গাড়িগুলো হলো, বাস ও মিনিবাস, ট্রাক ও ট্রাংক লরি, হিউম্যানহলার, টেম্পু, সিএনজি ও মিশুক। আর এর সংখ্যা হলো, বাস ও মিনিবাস ১১০টি, ট্রাক ও ট্রাংক লরি ১৭৬টি, হিউম্যান হলার ১৬৫টি, টেম্পু ৭৫টি, সিএনজি ২২৫টি ও মিশুক ৬৫টি।

বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ বলছে, এসকল পরিবহনগুলো সাধারণত বেশি ভাগ চারঘাট, বাঘা, পুঠিয়া, তাহেরপুর, কাঁকনহাট, আমনুরা, তানোর, মুন্ডুমালা, বাগমারা ইত্যাদি রুটে চলাচল করে। আর এর মধ্যে জেলায় রেজিস্ট্রেশনসহ পরিবহন রয়েছে ৬১ হাজার ১৪৯টি।

এর মধ্যে বাস ৩০৮টি, মিনিবাস ৫৭২টি, মাইক্রোবাস ৪০৪টি, কার ৮৬১টি, ট্রাক ও ট্রাংক লরি ১ হাজার ৩১টি, মিনি ট্রাক ১০৮টি, ট্রাকটার ৪২৮টি, পিকআপ ডেলিভারি ভ্যান ২০২টি, মোটরসাইকেল ৫৫ হাজার ৩৩৫টি, আটো টেম্পু ৪৪৩টি, আটোরিকশা ৫১৮টি, হিউম্যানহলার ১৯৮টি, অ্যাম্বুলেন্স ২৮টি, অন্যান্য ৪৩৮টি।

বিআরটিএ রাজশাহীর সহকারী পরিচালক সাদেকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে রাস্তায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও কাগজপত্রবিহীন গাড়ির সংখ্যা নেই বললেই চলে। মানুষ বুঝতে পেরেছে, গাড়ির বৈধ কাগজপত্র ছাড়া চলাচল করা সম্ভব না। প্রতিটি গাড়ির কাগজপত্র করাটা জরুরি।

তিনি আরো বলেন, এভাবে অভিযান চললে ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও কাগজপত্রবিহীন গাড়ির সংখ্য কমে যাবে। আর রাস্তায় দুর্ঘটনার সংখ্যাও অনেক হারে কমে যাবে।

সহকারী পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক মাহামুদ হাসান বলেন, সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা কমেছে। রাজশাহী শহরের প্রবেশ পথে চারটি স্থানে ট্রাফিক পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এসব রাস্তা দিয়ে কোন ধরনের নসিমন, করিমন, ভুটভুটি চলাচল করতে পারবেনা।

আর বিভিন্ন স্থানে ট্রফিক পুলিশ মোটরসাইকেলর কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়মিত চেক করছে। আর যে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই তদের মামলা ও গাড়ি আটক করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, যে সকল গাড়ির ফিটনেসের সমস্য রয়েছে সেগুলোকে নিয়মিত মামলা দেয়া হচ্ছে। আর গাড়ির ফিটসেরে মেয়াদ থাকার পরে গাড়ি থেকে কালো ধোয়া বের হয়। এটা ফিটনেরে মধ্যে পড়ে না।

তবে গাড়ির সবকিছু ঠিক থাকার পরে ইঞ্জিনের কারণে কালো ধুয়া বের হলে সে গাড়িকে ট্রফিক আইনে মামলা দেয়া হচ্ছে। এখন রাস্তায় ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও কাগজপত্র বিহীন গাড়ির সংখ্য আনেকটাই কমে গেছে।



মন্তব্য চালু নেই