বেশি ভাড়ায় লাইসেন্স বাতিল, অভিযোগ ফোনে
মিটারের চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া নিলে সিএনজি অটোরিকশার লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে হুঁশিয়ার করে দিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। একইসঙ্গে কেউ বেশি ভাড়া চাইলে অভিযোগ জানাতে বিআরটিএ’র চারটি টেলিফোন নম্বরও জানিয়ে দিয়েছেন সেতুমন্ত্রী।
আজ রবিবার দুপুরে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউ’র রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে বিআরটিএ পরিচালিত চলমান মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, রবিবার থেকে রাজধানীতে সিএনজিতে বর্ধিত ভাড়া কার্যকর করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘সিএনজি অটোরিকশা মিটারে চলছে কি না তা দেখতে ইতোমধ্যে চালক, মালিক, বিআরটিএ ও ট্রাফিক পুলিশের সমন্বয়ে মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। এ টিম কাজ শুরু করেছে। এ ছাড়া রাস্তায় বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে। যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়ামাত্র প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এসময় তিনি অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে বিআরটিএ’র চারটি নম্বরও উল্লেখ করেন। নম্বরগুলো হচ্ছে- ৯১১৩১৩৩, ৫৮১৫৪৭০১, ৯১১৫৫৪৪, ৯০০৭৫৭৪। অফিস চলাকালীন সময়ে এসব নম্বরে ফোন করে যে কেউ অভিযোগ দিতে পারবেন বলে জানান মন্ত্রী।
অভিযানের সময় মন্ত্রী কয়েকটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা থামিয়ে চালক ও যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানান, মিটারের নিয়ম মেনেই চলছেন চালকরা। যাত্রীরাও এতে সন্তুষ্ট।
এদিকে ছয়টি স্পটে বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালতের পাশাপাশি ঢাকা জেলা প্রশাসন পরিচালনা করছে আরও তিনটি ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাছাড়া চালক, মালিক, বিআরটিএ ও ট্রাফিক পুলিশের সমন্বয়ে মনিটরিং টিমও কাজ করছে বলে জানা গেছে।
চলমান অভিযান সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, “পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতেই এ অভিযান। এ অভিযান শুধু একদিনের জন্য নয়, প্রতিদিন চলবে।”
মিটার ছাড়া প্রাইভেট সিএনজির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, “গত কয়েকদিনে এক থেকে দেড়শ’ প্রাইভেট সিএনজি চালিত অটোরিকশাকে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগে ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়েছে।”
বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, নতুন ভাড়ায় প্রথম দুই কিলোমিটার ৪০ টাকা। পরবর্তী প্রতিকিলোমিটার ভাড়া হবে ১২ টাকা ও ওয়েটিং চার্জ (যানজট বা অন্য কোন কারণে থামলে) মিনিটপ্রতি দুই
টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে প্রথম দুই কিলোমিটারের ভাড়া ছিল ২৫ টাকা, পরবর্তী প্রতি কিলোমিটার সাত টাকা ৬৪ পয়সা ও ওয়েটিং চার্জ এক টাকা ৪০ পয়সা।
এছাড়া অটোরিকশা মালিকদের দৈনিক জমা ৬০০ টাকার পরিবর্তে ৯০০ টাকা করা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই