বেরোবির বঙ্গবন্ধু হলের সহকারি প্রভোস্টের পদত্যাগ

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি)বঙ্গবন্ধু হলের সহকারী প্রভোস্ট পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন গণিত বিভাগের শিক্ষক মশিয়ার রহমান।

সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার (চলতি দায়িত্ব) মোরশেদ উল আলম রনির কাছে লিখিত পদত্যাগ পত্র জমা দেন ওই শিক্ষক।

পরপর তিন বার হলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত চালু করতে পারেনি ছাত্রদের জন্য কোন হল। চালুর অপেক্ষায় রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল। ফলে আবাসিক শংকটে ভুগছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। যখন বলা হচ্ছে হল সামনের মাসে চালু করা হবে ঠিক তখনই ঘটলো এই অঘটন। উপাচার্যের অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণেই এই হলের সহকারী প্রভোস্ট গণিত বিভাগের প্রভাষক মশিয়ার রহমান পদত্যাগ করলেন বলে ঐ শিক্ষক অভিযোগ করেছেন। আর তাই আবারও হল চালু অনিশ্চিতের মধ্যে পরে গেলো বলে অনেকে মনে করেন।

বঙ্গবন্ধু হলের পদত্যাগ করা সহকারী প্রভোস্ট লিখিত অভিযোগে বলেন,আজ সোমবার বিকেল ৫ টার দিকে আমাদের হলের বিষয়ে উপাচার্যের সাথে কথা আছে বলে হলের প্রভোস্ট কমলেশ চন্দ্র সরকার বলেছিলেন। আমি গিয়ে দেখি প্রায় ৩০ জন শিক্ষক নিয়ে উপাচার্য মিটিং করছেন। অন্য বিভাগে খন্ডকালীন শিক্ষক মনোনয়ন নিয়ে কথা হচ্ছিল সেই সময়। সেখানে উপাচার্য বলছিলেন খন্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগে কোন বিধিমালা করার প্রয়োজন নাই। যে যার মতো ক্লাস নেওয়া শুরু করেন। তখন আমি এ ব্যাপারে সঠিক বিধি নিয়ে কথা বলতে গেলে তিনি আমার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।

তিনি(উপাচার্য) আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিসের নিয়ম! উপাচার্য যা বলবেন তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম বলে গণ্য হবে।

উপাচার্য শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে বলেন, যদি কোন মনোনয়ন ছাড়া কোন শিক্ষক কোন কোর্স নেয়। আর সেই কোর্সের কোন সমস্যার কারণে কোন শিক্ষার্থী ঐ শিক্ষকরে বিরুদ্ধে মামলা করে। তবেতো সেই শিক্ষক ফেসে যাবেন। কাজেই এর একটা সঠিক বিধি করা হোক।

কি কারণে হল থেকে পদত্যাগ করলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন আইন নেই।আর তিনি যা বলবেন তাই আইন। কাজেই আমি হলের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করলাম।

এ দিকে পদত্যাগের এখবর শোনে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভারে ২য় ব্যাচের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, আবারো হল চালু অনিশ্চি হয়ে গেলো।

এ বিষয়ে ঐ হলের প্রভোস্ট জানান, তিনি পদত্যাগ করেছেন। আমিও এ খবর পেয়েছি যে উপাচার্য অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় তিনি হলের দায়িত্ব থেকে পদত্যাক করলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রা(বেরোবি) মোর্মেদ উল আলম রনিকে এ ব্যাপারে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিফ করেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেরোবি উপাচার্য ড. একে এম নুরুন্নবী অসৌজন্যমূলক আচরণ করার বিষয়টি সঠিক নয় বলে জানান। তিনি বলেন, আমার কাছে বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিন্ন ভিন্ন সমস্যা নিয়ে আসা হয়। আমি সেগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে থাকি। আজকের বিষয়টিও সেরকম ছিলো। আমি একটি সমাধান দেই। কিন্তু মশিয়ার রহমান তা না মেনে চলে যান।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কিসের নিয়ম? এই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের কথাই সব।’ এই বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এমন কথা বলিনি, আমি নিয়মের মধ্যে থেকে কাজ করার কথা বলেছি।



মন্তব্য চালু নেই