বেরোবিতে নয় বিভাগের প্লানিং কমিটিতে একাই উপাচার্য

বেরোবি প্রতিনিধি : রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) নিয়ম লঙ্ঘন করে ২১টি বিভাগের মধ্যে নয়টির প্লানিং কমিটিতে সদস্য হয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী, শুধু বিভাগীয় শিক্ষকদের দ্বারা এসব প্লানিং কমিটি গঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বিভাগগুলোতে শিক্ষক নিয়োগসহ অন্যান্য কাজে অন্যায্যভাবে নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে তিনি এগুলোর সদস্য হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ অন্তত ১৫টি পদ নিজের কবজায় রাখার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

উপাচার্য বিভিন্ন কায়দায় যেসব বিভাগের প্লানিং কমিটির সদস্য হয়েছেন সেসব হলো- রাষ্ট্রবিজ্ঞান, উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ, সমাজবিজ্ঞান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, লোকপ্রশাসন, রসায়ন, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং। এগুলোর মধ্যে শুধু লোকপ্রশাসন বিভাগে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্বে থাকায় তিনি ওই বিভাগের প্লানিং কমিটির সভাপতি হয়েছেন। অন্যদিকে রসায়ন বিভাগে যোগ্য শিক্ষক থাকার পরও বিধি লঙ্ঘন করে ওই বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব নিজে রেখে প্লানিং কমিটির সভাপতি হয়েছেন।

এদিকে সামাজিক বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদে যোগ্য শিক্ষক থাকলেও তাদের ডিনের দায়িত্ব না দিয়ে নিজেই ওসব অনুষদের ডিন হিসেবে অনুষদভুক্ত বিভাগগুলোর প্লানিং কমিটির সদস্য হয়েছেন। জানা যায়, উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ১৫টি বিভাগে ২৫ জন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। এসব বিভাগের নয়টিতেই নিয়ম লঙ্ঘন করে প্লানিং কমিটির সদস্য হয়েছেন উপাচার্য।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর আইন (২০০৯ সালের ২৯নং আইন) এর ধারা ৩৯(২) অনুযায়ী বর্ণিত তফসিলের (প্রথম সংবিধি) এর ১১(৮) অনুযায়ী, বিভাগের মোট শিক্ষক সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষক সমন্বয়ে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে বিভাগীর প্লানিং কমিটি গঠিত হওয়ার কথা। উক্ত কমিটির সদস্য সংখ্যা অন্যূন তিনজন হতে হবে। আইন অনুযায়ী, প্লানিং কমিটির কাজ হলো বিভাগের সম্প্রসারণ এবং শিক্ষক, অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপিত বিভাগগুলোতে নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে এবং উপাচার্যের অনুসারী কিছু শিক্ষককে বিধি বহির্র্ভূতভাবে পদোন্নতি দেয়ার জন্যই তিনি ওই সব বিভাগের প্লানিং কমিটির সদস্য হয়েছেন।

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্নজনের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।



মন্তব্য চালু নেই