বেনাপোলে রেড এলার্ট, ফটকে নূর হোসেনের ছবি

নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের আসামিরা যাতে দেশ ছাড়তে না পারে সেজন্য বেনাপোল সীমান্তে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা বিশেষ সর্তক অবস্থায় রয়েছে। আসামিরা যাতে পাসপোর্টের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন অতিক্রম করে বা অবৈধভাবে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া পার হয়ে ভারতে যেতে না পারে, সেজন্য বিজিবির জওয়ানদের সর্তক করা হয়েছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নারায়ণগঞ্জের হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে বিশেষ সতর্কতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেনাপোল চেকপোস্টের ফটকের সামনে ওই হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি নূর হোসেনসহ তালিকাভুক্ত অপরাধীদের ছবি টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা বিশেষ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। বৈধপথে অপরাধীদের দেশত্যাগের সুযোগ নেই বলেও ওসি জানান।

জানতে চাইলে ২৬ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মতিউর রহমান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের হত্যাকাণ্ডের পর সতর্ক থাকার জন্যে আমাকে কেউ কোনো নির্দেশ দেয়নি। তবে আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে সীমান্তের প্রত্যেকটি বিওপি’র (বিজিবি ক্যাম্প) সদস্যদের বিশেষ সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।’

গত ২৭ এপ্রিল দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোড থেকে অপহূত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। এর তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যায় একে একে ভেসে উঠে সাতজনের মরদেহ। এই সাতজন হলেন এক গাড়িতে থাকা কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, তাঁর সঙ্গী তাজুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান স্বপন, লিটন ও তাঁর গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আরেকটি গাড়িতে থাকা আইনজীবী চন্দন সরকার ও তাঁর গাড়িচালক ইব্রাহিম।

এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে মামলাও করেছে নজরুলের পরিবার।



মন্তব্য চালু নেই