বেদনা কাকে বলে বুঝুন: সংসদে খালেদাকে বাদল

৩০ জন যারা মারা গেছেন, তারা কারও না কারও মা বা সন্তান। তখন তো কাউকে শোকার্ত হতে দেখি না। সাপের দংশন যে খায়নি, সে দংশন কে বুঝবে? হোয়াট ইজ কল পেইন, আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত করুক। শুধু বুঝুন এটা কতো ব্যথা দেয়া। এটা একটা সিগন্যাল- এটা আল্লাহর তরফ থেকে নির্দেশ কি না, সেটা ভাবার বিষয়।
দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে রোববার মাগরিবের বিরতির পরে অনির্ধারিত আলোচনায় জাসদের মাঈনুদ্দিন খান বাদল এমন কথা বলেছেন।
আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু ও খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রীর দেখতে যাওয়া নিয়ে সংসদে এসময় আলোচনা হচ্ছিল।
বাদল বলেন, ‘আমাদেরকে রাজনীতি করতে না করেছেন। কিন্তু আপনি লাশ নিয়ে যেনো রাজনীতি না করেন, কবর নিয়ে যাতে রাজনীতি না করেন। মৃতদেহ আসবে, সৎকার করুন। আমাদেরকে যেমন বলছেন, রাজনীতি না করতে। আপনারাও এটা নিয়ে রাজনীতি করবেন না। ঠাণ্ডা মাথায়, টেক দ্য সিগন্যাল ফ্রম আল্লাহ।’
সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল (নেত্রকোনা-৫) বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর স্বামী ওয়াজেদ সাহেব যখন মারা গেছেন, তখন খালেদা জিয়া এসেছিলেন। সেদিন গেট বন্ধ করে রাখা হয়নি। বলা হচ্ছে খালেদা জিয়াকে ঘুমের ইনজেকশান দেয়া হয়েছে। তা হতেই পারে। প্রধানমন্ত্রী চলে আসার কিছুক্ষণ পরেই খালেদা জিয়ার ঘুম ভেঙে গেছে। তখন তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। এতেই বোঝা যায়, এটা একটা ছলচাতুরি। এদিন তিনি এমন ছলচাতুরি না করলেও পারতেন।’
এ আলোচনায় প্রথমে বক্তব্য দেন বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। তারপরে বক্তব্য দেন ডা. দীপু মনি, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই