বেকার থেকে মেয়র, স্বপ্ন দেখছেন আনিসুল হক

আড়াই বছর বেকার ছিলেন জীবনে। আর এখন নগরপিতা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আনিসুল হক।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মিলনায়তনে সম্মিলিত ক্রীড়া পরিবার আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় জীবনের বিভিন্ন চরাই-উৎরাইয়ের ঘটনা তুলে ধরে একথা বলেন আনিসুল হক।

ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আনিসুল হক এবং সাঈদ খোকনের সমর্থনে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণে সহস্র নাগরিক সমর্থিত মেয়র প্রার্থী, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ডিসিসির প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের পুত্র সাঈদ খোকন। কিন্তু তিনি আনিসুল হকের বক্তব্যের সময়ে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন না। তার আগে নিজের বক্তব্য শেষ করে চলে যান।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামী লীগের সমন্বয়ক ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জাহিদ হাসান রাসেল, নাঈমুর রহমান দুর্জয়, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বদররুদ্দিন আহমেদ কামরান, নজরুল ইসলাম বাবু, জোবাইরা হক লিনুসহ বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠক। সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের হারুনুর রশীদ।

আনিসুল হক তার জীবনের নানা চড়াই-উৎরাই তুলে ধরে বলেন, ‘আমি একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান থেকে আজ এ জায়গায় এসেছি। আমার বন্ধুরা আজকে যারা, আমার বিপক্ষে ইলেকশন করছেন। তারা বলছেন, আমি নাকি অনেক বড়লোক। উনি সাধারণ মানুষের কথা বুঝবেন না। কিন্তু তারা জানে না যে, আমি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের সংসার থেকে হাঁটি হাঁটি পা করে জীবনের এ জায়গায় এসেছি।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্বাস করেন- আমি আড়াই বছর বেকার ছিলাম। যেদিন চাকরি পাই সেদিন বাবা বললেন, তোমার জীবনে কি করতে চাও। আমি অবাক হলাম। প্রশ্ন করলাম কি করতে চাই মানে? উনি (বাবা) বললেন, দাঁড়াও তোমার মাকে জিজ্ঞেস করে আসি। তারপর তিনি বললেন, তুমি যে জায়গাতেই যাও না কেন, যত বড়ই হও না কেন ভাল থাক, সৎ থাক, মানুষের প্রতি বিনয়ী হও। আমি সেভাবেই চেষ্টা করছি।’

আনিসুল আরো বলেন, ‘আমি অনেক কোন বড় মানুষ হয়ে যাইনি। শুধু আপনাদের সঙ্গে পরিচয়ের জন্য একথাগুলো বলছি। জীবনে অনেক সংগ্রাম করেছি। আমার পেছনে আমার সবচেয়ে যে বড় শক্তি, সেটা হচ্ছে আমার মায়ের দোয়া।’

তিনি বলেন, তিনটি সপ্তাহের মধ্যে জীবন কেন জানি বদলে গেছে। এটা কখনো স্বপ্ন ছিল না। আমার ৯২ বছরের বাবা মৃত্যুর পথযাত্রী। তিনিও এখন স্বপ্ন দেখছেন। আমার বউ, ভাই-বোন তারাও এখন স্বপ্ন দেখছেন। আর আমার মধ্যে ধীরে ধীরে এই জায়গার স্বপ্ন অনুরণিত হচ্ছে বলেও যোগ করেন তিনি।

অনুষ্টানে আগতদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমার মতো একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের আনিসুল হক যদি মেয়র হওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারেন। তাহলে আপনারা প্রত্যেকে মায়ের দোয়া নিয়ে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হওয়ার স্বপ্ন দেখেন।



মন্তব্য চালু নেই