‘বৃষ্টির আগে কর্মকর্তারা ৯ মাস নাকে তেল দিয়ে ঘুমান’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বৃষ্টির আগে সড়ক ও জনপথের কর্মকর্তারা ৯ মাস নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে থাকেন। বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগে লাফালাফি ও দাপাদাপি শুরু করেন। আর এখন বৃষ্টির সময় ইটের খোয়া ফেলে রাস্তা মেরামত করা হচ্ছে।’

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাওঁয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা ও মেঘনা টোলপ্লাজা এলাকায় বৃহস্পতিবার মহাসড়ক পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, মহাসড়কে চাঁদাবাজির জন্য হাইওয়ে পুলিশ ও থানা পুলিশকে দায়ী করলে হবে না। মহাসড়কে রাজনৈতিক চাঁদাবাজিও হয়ে থাকে। এখানে অনেক রকম চাঁদাবাজি হয়। স্থানীয় প্রভাবশালী, জনপ্রতিনিধিরাও চাঁদাবাজির অংশ পেয়ে থাকেন। এ সব চাঁদাবাজদের কঠোরহস্তে দমন করা হবে। বৃষ্টিকে খলনায়ক বানিয়ে যারা অজুহাত সৃষ্টি করবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৃষ্টিকে অজুহাত হিসেবে মেনে নেওয়া হবে না। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক একটি স্পর্শকাতর সড়ক। এ মহাসড়কে ইটখোয়া ফেলে মেরামত করা হচ্ছে। এটা কেন করা হবে?

এদিকে মহাসড়কের খানাখন্দ আগামী তিন দিনের মধ্যে মেরামতের জন্য সড়ক ও জনপথের ঢাকা বিভাগীয় প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেন মন্ত্রী। মেঘনা সেতুর কাছ থেকে যারা বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত তাদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। মেঘনা সেতু এলাকায় বালু উত্তোলনের ফলে মেঘনা নদী বর্তমানে হুমকির মুখে রয়েছে।

এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সিদ্দিকুর রহমান, সড়ক ও জনপথের ঢাকা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহ্ মোহাম্মদ মূসা, সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু নাছের ভূঞাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা।



মন্তব্য চালু নেই