বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট বাঁচিয়ে দিল সোয়াত কর্মকর্তাকে
গাজীপুরে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে বুকে গুলি লাগলেও বেঁচে গেছেন পুলিশের একজন কর্মকর্তা। তার গায়ে পড়া বুলেট প্রুফ জ্যাকেটের কারণে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন তিনি।
অভিযান শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। ওই কর্মকর্তার নাম না জানালেও মন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি পুলিশের বিশেষ শাখা সোয়াতে চাকরি করেন।
সকালে গাজীপুরের পাতারটেকে সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে নিয়মিত পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি অংশ নেয় সোয়াত ও র্যাব সদস্যরাও। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অবরোধ করে আন্তসমর্পণের আহ্বান জানানো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর গুলি ও গ্রেনেড ছুড়ে জঙ্গিরা। এরপর পাল্টা হামলা চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পাতারটেক অভিযান শেষে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পুলিশবাহিনী যথার্থভাবে কাজ করছে। তারা জঙ্গিদের একের পর এক আস্তানা গুঁড়িয়ে দিয়েছে।’
জনাব কামাল বলেন, ‘মোটামুটি সাঁড়াশি অভিযান হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা সঠিক কাজটি করে যাচ্ছেন।’
গত ১ জুলাই হলি আর্টিজান বেকারিতে জিম্মিদের উদ্ধারের চেষ্টায় যাওয়া দুই পুলিশ কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার রবিউল করিম এবং বনানী থানার সে সময়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাউদ্দিন আহমেদ গুলি ও গ্রেনেডের স্প্লিন্টারে বিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
এই ঘটনার পর গত ২৬ জুলাই মিরপুরের কল্যাণপুরে এবং ২৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। আর্টিজান হামলার পরের অভিজ্ঞতা থেকে অভিযান শুরুর আগেই বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পড়ে অভিযানে যায় তারা। গাজীপুর ও টাঙ্গাইল অভিযানেও এ রকম প্রস্তুতি নিয়েই যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
ফলে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা ব্যাপক গোলাগুলি ও গ্রেনেড ছুড়লেও এক পুলিশ কর্মকর্তার আহত হওয়া ছাড়া কারও কিছু হয়নি। তবে ওই কর্মকর্তার আঘাতও গুরুতর নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ওই পুলিশ কর্মকর্তার হাতে গুলি লেগেছিল। হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার পর তিনি এখন সুস্থ আছেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিরা পুলিশকে গুলি করেছে, ১৩ থেকে ১৪টি গ্রেনেডও ছুঁড়েছে। পুলিশবাহিনী জীবন বাজি রেখে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে।’
মন্তব্য চালু নেই