বুকের পরিবর্তে ব্যাগে হৃদযন্ত্র!

তার নাম অ্যান্ড্রু জোন্স। ২৬ বছর বয়সি অ্যান্ড্রুর জীবন সত্যিই ঘটনাবহুল। সেই সঙ্গে তিনি উদাহরণও বটে। চিকিৎসাশাস্ত্র যে এতটা এগিয়ে যেতে পারে, তা অ্যান্ড্রুর কাহিনি না পড়লে জানাই যেত না। ২০১২ সালে অ্যান্ড্রুর শরীরে ধরা পড়ে কার্ডিওমায়োপ্যাথি। এই রোগটা বংশানুক্রমে পেয়েছেন অ্যান্ড্রু। কার্ডিওমায়োপ্যাথি ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই হৃদযন্ত্র অস্ত্রোপচারের নির্দেশ দেন চিকিৎসকরা। কার্ডিওমায়োপ্যাথিতে রোগীদের হৃদযন্ত্রের পেশি ঠিকঠাক কাজ করে না। পরিশ্রমসাধ্য কাজ একেবারেই করতে পারতেন না অ্যান্ড্রু। হাঁটাচলা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। জামাকাপড়ও পরতে পারতেন না। অ্যান্ড্রুর হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন করতেই হতো।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর তা হয়নি। বিকল্প না পেয়ে কৃত্রিম হৃদযন্ত্র বসাতে হয়। যে কৃত্রিম হৃদযন্ত্র বসানো হয়, তার আবার দুটো টিউব। আর একটা মেশিন দেওয়া হয়, যে মেশিনের মাধ্যমে দেহে রক্ত সঞ্চালনা হয়। সেই মেশিনটি ব্যাকপ্যাকে রাখেন অ্যান্ড্রু। কঠিন এবং অবাক করার মতো এই অস্ত্রোপচারের পরে অ্যান্ড্রু এখন রীতিমতো সুস্থ। দুর্দান্ত শারীরিক গঠনের অধিকারী অ্যান্ড্রু যা করতে চাইছেন, তাই করতে পারছেন। ওজন তুলছেন। ব্যায়াম চর্চাও করছেন। এখন অ্যান্ড্রু একটা দাতব্য সংস্থা খুলেছেন। তার নাম হার্টস অ্যাট লার্জ। অঙ্গদান সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোই এই সংস্থার উদ্দেশ্য। অ্যান্ড্রু বলছেন, ‘আমি সব সময় শরীর চর্চা পছন্দ করতাম।’ আর সেটা এখনও তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন। কোথাও কোন সমস্যা নেই।



মন্তব্য চালু নেই