বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুল ছাত্রীকে ধারাবাহিক ধর্ষণ : অবশেষে ৭ মাসের অন্তঃস্বত্তা

প্রেমিকের বিয়েতে রাজি না হওয়ায় পিরোজপুরের নাজিরপুরে সপ্তম শ্রেনীর এক ছাত্রী শনিবার নিজ গায়ে আগুন দিয়ে আত্ম হত্যার চেষ্টা করে।

জানা গেছে, উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের পাজরাপাড়া গ্রামের জুরান মন্ডলের পুত্র ও ২ সন্তানের জনক উজ্জ্বল মন্ডল স্থানীয় এক রিকসা চালকের কন্যা ও উপজেলার সপ্তগ্রাম সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী (১২) কে জোর করে ধর্ষন করে।

এতে ওই স্কুল ছাত্রী অন্তঃস্বত্তা পড়ে। এ ঘটনায় গত ৩০ মে ওই স্কুল ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে নাজিরপুর থানায় উজ্জ্ব মন্ডল সহ ৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোঃ এনায়েত হোসেন জানান, মামলা দায়েরের পরই অভিযুক্তরা এলাকা থেকে পালানোর কারণে তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয় নি।

মামলা সুত্রে জানা গেছে, একই গ্রামের প্রতিবেশী ওই ধর্ষক ইতিপূর্বে বিভিন্ন সময় তার কন্যাকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসলেও গত ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম দিকে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ধর্ষক উজ্জ্বল তার (ভ্যানচালক) কন্যাকে জোড় করে ধর্ষন করে তা ভিডিও করে। পরে এ বিষয়টি জানাজানি হলে ধর্ষক তার কন্যাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে কাল ক্ষেপন করে ও বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করে। এতে ওই স্কুল ছাত্রী অন্তঃসত্বা হয়ে পড়ে।

স্থানীয়রা জানান, বিষয়টি মীমাংসার জন্য একাধীকবার বসলেও অভিযুক্ত ধর্ষক এ ঘটনার সাথে জড়িত নয় বলে সে কোন মীমাংসায় রাজী হয় নি।

ওই স্কুল ছাত্রীর পিতা জানান, বর্তমানে তার কন্যা ৭ মাসের অন্তঃস্বত্তা তাই লোক লজ্জা এড়াতে ও অনাগত সন্তানের পিতৃ পরিচয় নিশ্চিত করতে না পেরে সে আত্ম হত্যার উদ্দ্যেশে নিজ গায় আগুন দেয়।

এ ব্যাপারে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার মোঃ অহিদুজ্জান জুয়েল জানান, তার শরীরের নিচ অংশ সহ ৪০ থেকে ৪৫ ভাগ পুড়ে গেছে। তাই তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে প্রেরণ করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই