বিয়ের পরের দিন সকালে নববধূ করলেন এমন কাজ যে, হতবাক স্বামী-সহ সকলে

বিয়ের পরের দিনের সকালটা যে কোনও নবদম্পতির কাছেই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সেই দিনেই মেয়ে তার বাপের বাড়ি থেকে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে রওনা দেয় শ্বশুরবাড়ির দিকে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের ক্যান্টনমেন্ট তহশিলের এক নবদম্পতির বিয়ের পরের দিন সকালটা কাটল একেবারেই ব্যতিক্রমী পন্থায়। নববধূ সে দিন সকালেই এমন কিছু করে বসলেন যে, স্বামী-সহ আত্মীয়স্বজন বিস্মিত তো হলেনই, পাশাপাশি নতুন বউকে কুর্নিশ না জানিয়েও পারলেন না।

উত্তরপ্রদেশে দ্বিতীয় দফার বিধানসভা নির্বাচনের দিন ছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি। আর ১৪ ফেব্রুয়ারি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন নিশা এবং ধর্মেন্দ্র। পরের দিন ছিল নিশার শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার দিন। কিন্তু সে দিন যখন ধর্মেন্দ্র স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরার তোড়জোড় করছেন, তখনই হঠাৎ নিশা বলেন, তিনি ভোট দিতে চান। নিশার

ইচ্ছের সঙ্গে এক জন নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রশ্ন জড়িত। প্রাথমিক ভাবে ধর্মেন্দ্র-সহ পরিবারের লোকজন বেশ বিস্মিত হলেও শেষ পর্যন্ত তাঁরা সম্মতও হন।

নববধূর পোশাকে যখন ভোটদান কেন্দ্রে গিয়ে পৌঁছন নিশা, তখন সঙ্গে ছিলেন সুসজ্জিত ধর্মেন্দ্রও। তিনিও ভোট দেন। ভোটকর্মীরা নবদম্পতির এই উৎসাহ দেখে তাঁদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। নিশা আর ধর্মেন্দ্র যখন ভোটকেন্দ্রে ঢোকেন, তখন উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিতে দেখা যায় সকলকে।

পরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নিশা জানান, তিনি তাঁর গণতান্ত্রিক অধিকার পালন করেছেন মাত্র। ধর্মেন্দ্রও বলেন, তিনিও স্ত্রীয়ের এই উৎসাহ দেখে অত্যন্ত খুশি। প্রাথমিক ভাবে একটু বিস্মিত হয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু যখন দেখেন, নিশা ভোট দেওয়ার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, তখন তিনিও তাঁর সঙ্গী হন। নিশার এই আচরণে খুশি ছেলে ও মেয়ে— উভয়পক্ষের লোকজনই।



মন্তব্য চালু নেই