বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন
বিয়ের দাবীতে এক প্রেমিকের বাড়ীতে অনশন শুরু করেছে প্রেমিকা। জানা গেছে, গতকাল সোমবার সকাল থেকে কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের চাঁদখানা ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে সেলিম হোসেন (১৬)কে প্রেমের সূত্রে বিয়ে করতে পার্শ্ববর্তী সদর ইউনিয়নের দক্ষিন পুষনা গ্রামের খয়রাত হোসেনের মেয়ে মোছাঃ তুর্পি আক্তার সুমি (১৩) বিয়ের দাবীতে ছেলের বাড়ীতে দু’দিন যাবত অনশন করে আসছে।
এলাকাবাসী জানায় গতকাল হঠাৎ করে সদর ইউনিয়নের খয়রাত হোসেনের মেয়ে মোছাঃ তুর্পি আক্তার সুমিকে(১৩) পার্শ্ববর্তী চাঁদখানা ইউনিয়নের চাঁদখানা ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের দুলাল হোসেনের বাড়ীতে এসে ছেলে সেলিম হোসেনকে (১৬) ডেকে বিয়ের জন্য প্রস্তাব দেয় প্রেমিকা তুর্পি আক্তার সুমি। পরে ছেলে কোন কিছু না বলে তার ঘরে প্রবেশ করলে তুর্পি আক্তার সুমিও তার হাত ধরে ঘরে ঢুকে পড়ে। তারপর ওয়ার্ড সদস্য মজিদুল হক ও এলাকার মাতব্বরগণ তুর্পি আক্তার সুমিকে অনেক কিছু বুঝিয়ে প্রেমিকের বাড়ি থেকে বের করতে না পারায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রেমিক সেলিম হোসেনকে ও প্রেমিকা তুর্পি আক্তার সুমিকে গ্রাম্য পুলিশ ও ওয়ার্ড সদস্য মজিদুল ইসলামের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়।
এ নিয়ে প্রেমিক সেলিম হোসেন ও প্রেমিকা তুর্পি আক্তার সুমি এ প্রতিবেককে জানান,“আমরা দু’জন দু’জনকে দীর্ঘ ২বছর থেকে ভালবেশে আসছি এবং আমরা দু’জন স্বামী স্ত্রী হিসাবে বসবাস করতে চাই”। তুর্পি আক্তার সুমি আক্তার আরো জানান,সেলিম আমাকে ইতঃপূর্বে আরো দু’বার তার বাড়িতে নিয়ে এসেছিল এবং গতকাল সোমবার আমাকে মোবাইলে তার বাড়িতে আসতে বললে আমি চলে আসি। কিন্তু এখন সেলিমের বাবা মা আমাকে তার ছেলের সাথে বিয়ে দিতে রাজি নয়। আর আমি সেলিমকে বিয়ে করবোই।
প্রেমিক সেলিম জানান, আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যারকে জানিয়েছি আমাদের দু’জনের বয়স বিয়ের জন্য পূর্ণ হলে দু’জন দু’জনকে বিয়ে করবো। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান,এ বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়নি।
মন্তব্য চালু নেই