বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে লাগাতার অবস্থান

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে দুইদিন ধরে অবস্থান নিয়েছেন প্রেমিকা। ঘটনাটি ঘটেছে মির্জাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের কুইচতারা গ্রামে।

জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী বাসাইল উপজেলার সিঙ্গারডাক গ্রামের মো. জয়নাল আবেদীনের মেয়ে মিতু আক্তারের সঙ্গে মির্জাপুর উপজেলার কুইচতারা গ্রামের মো. তারা মিয়ার ছেলে খোকন মিয়ার এক বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ সময় মিতু তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে খোকন কৌশলে দূরে সরে যায়। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকেলে মিতু তার প্রেমিক খোকনের বাড়িতে অবস্থান নেয়।

এদিকে মিতুর অবস্থানের খবর পেয়ে প্রেমিক খোকন বাড়ি থেকে সটকে পড়ে এবং রাতে তার কয়েকজন বন্ধু দিয়ে জোর পূর্বক তাকে তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। তারা মিতুকে সরাতে না পারলেও তার কাছে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণের বালা ছিনিয়ে নেয় বলে মিতু অভিযোগ করেছেন।

শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে যেয়ে মিতু আক্তারের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। প্রায় এক বছর ধরে সে আমাকে উপজেলার গোড়াই এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় রেখে বসবাস করেছে। তাছাড়া আমি তাকে প্রতি মাসে ৫/৬ হাজার টাকা করেও দিয়েছি। এখন বিয়ের কথা বলায় সে কৌশলে আমাকে এড়িয়ে চলছে। তাই অন্য কোন উপায় না পেয়ে বিয়ের দাবিতে খোকনের বাড়িতে এসেছি। কিন্তু আমি আসার পরই খোকন বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। রাতে খোকনের মার সঙ্গে রাত্রি যাপন করলেও সকালে তিনি আমাকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে অন্যত্র চলে গেছে। বিয়ের আগ পর্যন্ত তিনি ওই বাড়ি ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন।

প্রেমিক খোকনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মিতুর সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তাকে বিয়ে করতে হবে এ রকম কোন সম্পর্ক গড়ে উঠেনি।
কুইচতারা গ্রামের বাবুল মিয়া জানান, পাশের বুড়িহাটী গ্রামের আদম বাচ্চুর ছেলে সেলিশ ও ছত্তর মিয়ার ছেলে হিটলুসহ ৪/৫জন রাত আটটার পর ওই বাড়িতে এসে মিতুকে টেনে হিঁচড়ে তুলে নেয়ার চেষ্টা চালায়। মিতুর চিৎকারে পাশের বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায় বলে তিনি জানান।

এদিকে খবর পেয়ে মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক নুর মোহাম্মদ পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যেয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে মিতুকে থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। কিন্তু মিতু আক্তার বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত ওই বাড়ি ছাড়বেন না বলে পুলিশকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই