বিস্ময়কর আমাজন বনের কিছু গোপন রহস্য
আমাজন একটি চমৎকার জায়গা। এই বনে আছে এমন অদ্ভুত সব জিনিস যা হয়ত আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। আপনি কি জানেন, বিশ্বের সুমিষ্ট পানির বিশাল উৎস আছে আমাজনে? আমাজন নদীর পানির প্রবাহ বিশ্বের সবচেয়ে বড় অন্য ৮ টি নদীর পানির প্রবাহের সমষ্টির চেয়েও বেশি! অথবা আপনি কি এটা জানেন, আমাজন রেইন ফরেস্টে আছে মিলিয়নেরও বেশি প্রজাতির জীব-জন্তু? এমন আরও অজানা তথ্য জেনে নেব আজ।
১। নিউইয়র্ক শহরে ১২ বছরে যত পানি ব্যবহৃত হয় আমাজন নদীতে তার চেয়েও বেশি পানি প্রবাহিত হয় একদিনে। পৃথিবীর তাবৎ পরিচ্ছন্ন পানির ২০ ভাগ বয়ে চলে এই নদীতে।
২। আমাজন এতই বিশাল জীব বৈচিত্রে পরিপূর্ণ বন যে এর একটিমাত্র লতা গুল্মে থাকতে পারে বহু প্রজাতির পিপড়া। এত পিঁপড়া যা হয়ত সমগ্র ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জে নেই!
৩। এক আমাজনে আছে ৩০০০ প্রকারের ফল। তবে খাওয়ার যোগ্য ফল আছে মাত্র ২০০ প্রকারের।
৪। আমাজনের নামের পেছনে আছে এক গল্প। স্প্যানিশ এক্সপ্লোরার ফ্রান্সিস্কো অরেল্লানাকে আক্রমণ করেন এক নারী যোদ্ধা। ফ্রান্সিস্কো সেই নারী যোদ্ধার নাম রাখেন আমাজন, গ্রীক পূরাণের আমাজনের নামে। সেখান থেকেই কালক্রমে বন ও নদীর নাম হয় আমাজন।
৫। এই বনে ১০ মিলিয়ন প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে আছে ৪০,০০০ প্রজাতির গাছ, ১৩০০ প্রজাতির পাখি, ৩০০০ প্রজাতির মাছ, এবং ২.৫ মিলিয়ন ভিন্ন প্রজাতির পোকামাকড়।
৬। একসময় হেনরি ফোর্ড আমাজনে রাবার চাষের উদ্দেশ্যে একটি ওয়ার্ক হাউজ তৈরি করেন। এখন সেই ফোরলান্ডিয়া পরিত্যাক্ত ভুতের বাড়ি হিসেবে পরিচিত।
৭। ৩০০ পাউন্ড ওজনের আরাপাইমাম মাছ বাস করে আমাজনে। এর গায়ের চামড়া বর্মের মত শক্ত যার কারণে সে নিরাপদ থাকে মাংসাশী পিরানহার কামড় থেকে।
৮। সাহারা মরুভূমি থেকে প্রতি বছর ৪০ মিলিয়ন টন বালি উড়ে আসে আমাজনে!
৯। আমাজনে এমন অনেক আদিবাসী গোষ্ঠী আছে বহির্বিশ্বের সাথে যাদের কোন সংযোগ নেই। কিছু বিজ্ঞানী আছেন যারা চান না এদেরকে আবিষ্কার করা হোক।
১০। বলা হয়, আমাজন একটি দৈত্যাকৃতি ফলের বাগান যা বিকশিত হয়েছে ৩০০০ বছর আগে।
১১। আমাজন নদী থেকে এত পরিমাণে সুমিষ্ট পানি সমুদ্রে গিয়ে মেশে যে প্রায় ১০০ মাইল পর্যন্ত সমুদ্রের পানি কম লবণাক্ত থাকে।
১২। আমাজন নদীর মুখ এতই বিশাল যে তা এর নিকটবর্তী দ্বীপ মাজারিওকে ডুবিয়ে দেয়। মজার বিষয় কি জানেন? মাজারিও এর আকৃতি সুইজারল্যান্ডের সমান।
১৩। পৃথিবীর অক্সিজেনের ২০% আসে আমাজন বন থেকে।
১৪। বিজ্ঞানীরা টেরা পেটা বা কালো মাটির সন্ধান পেয়েছেন যা আমাজনের বেশ বড় অংশকে ঢেকে রেখেছে। তারা মনে করেন এখানে গড়ে ওঠা সভ্যতা এই মাটির উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল।
১৫। আমাজনের নদী একসময় প্রবাহিত হত প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে। গতিমূখ বদলে এটি এখন প্রবাহিত হয় আটলান্টিক মহাসগরের দিকে!
মন্তব্য চালু নেই