কলারোয়ায় রাতের আধারে ছাত্র-ছাত্রীদের ২বস্তা বিস্কুট চুরির অভিযোগ

বিস্কুট চুরির দায়ে গণধোলাই খেলেন প্রধান শিক্ষক!

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের বিস্কুট চুরি করে নিয়ে পালানোর সময় এক শিক্ষককে এলাকাবাসী আটক করে গণধোলাই দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার যুগিখালী ইউনিয়নের পাঁচনল গ্রামে। এসময় ওই শিক্ষক তার সরকারী চাকুরী বাঁচানোর জন্য এলাকার কতিপয় নেতাদের ডেকে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
ওই এলাকার শত শত মানুষ অভিযোগ করে সাংবাদিকদের জানান, উপজেলার যুগিখালী ইউনিয়নের পাঁচনল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হায়দার আলী দীর্ঘ দিন ধরে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের বিস্কুট না দিয়ে চুরি করে বাড়ী নিয়ে যায়। এ বিষয়টি নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জনা চলে আসছিলো।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ওই স্কুলের মাস্টার হায়দার আলী ও তার এক ছেলেকে সাথে নিয়ে রাতের আধারে স্কুলের তালা খুলে ২বস্তা বিস্কুট নিয়ে বাড়ী ফেরার পথে এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তাদের আটক করে। পরে ওই বস্তার ভিতরে সরকারী বিস্কুট দেখে স্থানীয় জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে মাস্টার হায়দার আলীকে গণধোলাই দিয়ে স্কুলের সামনে একটি পিলারের সাথে বেধে রাখে বলে স্থানীয়রা জানায়।
পরে খবর পেয়ে ওই এলাকার কতিপয় নেতা হায়দার আলীর চাকুরী বাচাতে ৫০হাজার টাকা নিয়ে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে সমাধানের চেষ্টা চালায়।
পরে টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয় যুগিখালী ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান জানান, তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না, তবে পরে তিনি বিষয়টি শুনেছেন।
এদিকে উপজেলার যুগিখালী ইউনিয়নের পাঁচনল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হায়দার আলী জানান, তিনি অপরাধ করেছেন তার সাজাও দিয়েছে এলাকাবাসী।
অন্যদিকে সরকারী বিস্কুট স্কুল থেকে চুরি করার ঘটনার বিচার দাবী করে জেলা পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, কলারোয়া থানা পুলিশ ও জেলা প্রশাসকের কাছে পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে এলাকাবাসী আবেদন জানিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই