আবার কিছু বন্ধু জীবনটাকে বিষাক্ত করে দেওয়ার জন্যে যথেষ্ট। তাই কৌশলে এদের ত্যাগ করতে হবে।
১. বিশেষজ্ঞরা কিছু বন্ধুদের এ ‘ইমোশনাল ভ্যাম্পায়ার’ বলে ডাকতে চান। এরা ক্রমাগত আবেগময় কথাবার্তা বলে আপনাকে অস্থির করে তুলবে। একের পর একে টেক্সট পাঠাবে এবং সহজ বিষয়কে জটিল করে তুলবে। আপনার দৈনন্দিন জীবনে নানাভাবে জড়িয়ে পড়বে এরা। খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন, এদের কথায় বা পরামর্শে ক্রমেই আপনার অধঃপতন ঘটছে। এদের থেকে সরাসরি দূরে চলে যান কোনরকম ভূমিকা ছাড়াই।
২. কারা আপনাকে শুধু আপনার মতো করেই থাকতে দেয়, এদের খুঁজে বের করুন। অনেকের মতে, যারা আপনাকে সব সময় হাসি-খুশি রাখতে চান তারাই প্রকৃত বন্ধু। কিন্তু আসলে কোন মানুষ সব সময় সুখী থাকতে পারেন না। তাই শুধু সুখী নয়, কিছু সময় কষ্টও দিতে পারেন ভালো বন্ধুরা। তবে এ কষ্ট আপনাকে ইতিবাচক শিক্ষা দেয়। তাই যারা শুধুমাত্র আপনাকে আপনার নিজের মতো থাকতে সুযোগ করে দেয়, তারা কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভালো কিছু দিচ্ছেন না। সুখ-দুঃখ মিলিয়ে আপনি প্রকৃত বন্ধুর অস্তিত্ব খুঁজে পাবেন।
৩. সহানুভূতিশীল বন্ধু সবার কাম্য। কিন্তু কোনো বন্ধু যদি আপনার থেরাপিস্ট হয়ে ওঠেন, তবে তা বড় একটা সমস্যা। এ বিষয়টি অস্বাস্থ্যকর সম্পর্ক বয়ে আনে। কোন বন্ধু নিজেকে আপনার জীবনের শিক্ষণীয় কিছু বলে উপস্থাপন করতে পারেন না। আবার আপনিও কোনো বন্ধুর কাছে শিক্ষণীয় কেউ হয়ে উঠতে পারেন না। একে অপরের কাছে অনেক কিছু শিখতে পারে। কিন্তু শিক্ষণীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে আবির্ভূত হওয়াটা মোটেও উচিত নয়। এ ধরনের পরিস্থিতি দেখলেই তা থেকে বেরিয়ে আসুন।
মন্তব্য চালু নেই