বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার পেলেন ব্র্যাকের আবেদ
২০১৫ সালের বিশ্বখাদ্য পুরস্কারের মনোনীত হয়েছেন ব্র্যাকের চেয়ারপারসন স্যার ফজলে হাসান আবেদ।
বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেনেথ এম কুইন এই পুরস্কারের জন্য ফজলে হাসান আবেদের নাম ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কৃষিমন্ত্রী থোমাস জে ভিলস্যাক।
পুরস্কারের অর্থমূল্য আড়াই লাখ ডলার। আগামী অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যের ডে মইন শহরে ফজলে হাসান আবেদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেয়া হবে।
ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজের বিবৃতিতে বলা হয়, অনেকেই যে প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বের মধ্যে দারিদ্র্য বিমোচনে সবচেয়ে কার্যকরী সংগঠন হিসেবে মনে করে থাকেন, সেই ব্র্যাক গড়ে তোলার অনন্য স্বীকৃতি হিসেবে ফজলে হাসান আবেদকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
ব্র্যাককে বিশ্বের মধ্যে একটি অন্যতম বেসরকারি সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলায় ২০০৯ সালে ব্রিটিশ রানী ফজলে হাসান আবেদকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করেন।
ব্র্যাক ১৫ কোটি মানুষকে দারিদ্র্যের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসতে সহায়তা করেছে। বাংলাদেশসেহ বিশ্বের ১১টি দেশে দরিদ্র মানুষদের উন্নয়নে কাজ করছে ব্র্যাক।
১৯৭২ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে বিপর্যস্ত মানুষকে ত্রাণ সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ফজলে হাসান আবেদের নেতৃত্বে ব্র্যাক প্রতিষ্ঠিত হয়।
সংস্থাটি দরিদ্রদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন এবং তাদের জীবনমানে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে কাজ করছে। বর্তমানে বিশ্বের সাড়ে তের কোটি মানুষ ব্র্যাকের সেবার আওতাভূক্ত।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আবেদের নেতৃত্বে ব্র্যাক বিশ্বের সবচেয়ে বড় বেসরকারি সংস্থায় পরিণত হয়েছে। এ সংস্থাটি বিভিন্ন দেশের অন্তত ১৫ কোটি মানুষের দারিদ্র্য দূর করতে সহায়তা করেছে।
বর্তমানে এশিয়া, আফ্রিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের ১১টি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে ব্র্যাক।
নিজস্ব প্রচেষ্টায় যারা বিশ্বে খাদ্যের গুণগত মান, পরিমাণ ও প্রাপ্যতা নিশ্চিত করে থাকেন, তাদেরকেই প্রতি বছর এই পুরস্কার দেয়া হয়ে থাকে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ৪ হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এই পুরস্কারের মনোনয়ন আহ্বান করা হয়।
মন্তব্য চালু নেই