বিশ্ব ইজতেমায় আগতরা যে সব সুবিধা পাবেন
আগামী ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি এবং ২০ থেকে ২২ জানুয়ারি গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে দু’পর্বে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ব ইজতেমায় আগত দেশী-বিদেশি মেহমানদের সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুশৃংখল ব্যবস্থাপনার জন্য গাজীপুর জেলা প্রশাসন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
গত ১৫ ডিসেম্বর বুধবার গাজীপুর জেলা প্রশাসকের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে বিশ্ব ইজতেমাকে সফল করতে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রস্তুতিমূলক সভা থেকেই বিশ্ব ইজতেমায় আগমত মেহমানদের জন্য গ্রহণ করা পরিকল্পনাসমূহ জানা যায়। খবর বাসস
গৃহীত সেবামূলক কর্মসূচিসমূহ
বিশ্ব ইজতেমার রাস্তা সংস্কার ও মেরামত, পরিবেশ উন্নয়ন, মন্নু কামারপাড়া রোডের দুপাশে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ, অস্থায়ী টয়লেট নির্মাণ, আইনশৃংখলা বাহিনীর জন্য পর্যাপ্ত ওয়ার্চ টাওয়ার নির্মাণ।
বিশ্ব ইজতেমায় আগত মেহমানদের জন্য পর্যাপ্ত ওজু, গোসল ও খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ট্যাংকার ট্রলির মাধ্যমে পানি সরবরাহ করবে। এছাড়া টঙ্গির তুরাগ নদীর পশ্চিম পাড়ে পানি বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্ট স্থাপনের পরিকল্পনাও রয়েছে।
বিশ্ব ইজতেমায় আগত বিদেশি মেহমান ও ভিআইপদের জন্য আলাদা টয়লেট ও গোসলখানা নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যে ইজতেমা ময়দানে তিনতলা বিশিষ্ট ১৩টি ও দ্বিতলা বিশিষ্ট ৪টি বিল্ডিং এবং ৬ হাজার টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে।
বিশ্ব ইজতেমায় আগত মেহমানদের সুবিধার্থে ইতিমধ্যে টঙ্গী ব্রিজ থেকে স্টেশন রোড, স্টেশন রোড থেকে রেলগেট, স্টেশন রোড থেকে কামার পাড়া রোড এবং ইজতেমার আশাপাশের অবৈধ স্থাপনা, দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়েছে।
বিশ্ব ইজতেমায় আগত দেশী-বিদেশি সব মেহমানের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের দোকান এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান স্থাপনের অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এবারের বিশ্ব ইজতেমায় আগত সবার জন্য সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু রাখা, নিরাপদ স্বাস্থ্য সেবার জন্য মেডিকেল টিম গঠন ও এ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখাসহ বিগত বছরগুলোর চেয়ে সব সুযোগ-সুবিধা বেশি থাকবে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর জেলা প্রশাসন।
মন্তব্য চালু নেই