বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু কাল

টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে ৫১ তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।

শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক কার্যক্রম শুরু হবে এবং রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।

বুধবার থেকে তুরাগ তীরে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা আসতে শুরু করেছে। দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লির পদচারণায় ভরে গেছে ইজতেমা ময়দান। এখনও দলে দলে আসছেন মুসল্লিরা।

এদিকে বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে টঙ্গীর তুরাগ তীর সংলগ্ন ইজতেমাস্থলের সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে।

১৬০ একর জমির ওপর নির্মিত সুবিশাল প্যান্ডেলের কাজ, খুঁটিতে নম্বর প্লেট, খিত্তা নম্বর, জুড়নেওয়ালি জামাতের কামরা, তাশকিল কামরা, হালকা নম্বর বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে বয়ান শোনার জন্য পুরো মাঠে প্রতিধ্বনি রোধক পাঁচ শতাধিক ছাতা মাইক স্থাপন করা হয়েছে। ময়দানে প্রবেশ সুবিধা বাড়াতে সেনাবাহিনী তুরাগ নদে নয়টি ভাসমান পন্টুন নির্মাণ করেছে।

মুসল্লিদের অবস্থান: প্রথম পর্বে ১৭ জেলার মুসল্লিরা অংশ নেবেন। এগুলো হল- ঢাকা জেলা (খিত্তা নম্বর ১-৬), শেরপুর (৭), নারায়ণগঞ্জ (৮ ও ১১) নীলফামারী (৯), সিরাজগঞ্জ (১০), নাটোর (১২), গাইবান্ধা (১৩), লক্ষ্মীপুর (১৪ ও ১৫), সিলেট (১৬ ও ১৭), চট্টগ্রাম (১৮ ও ১৯), নড়াইল (২০), মাদারীপুর (২১), ভোলা (২২ ও ২৩), মাগুড়া (২৪), পটুয়াখালী (২৫), ঝালকাঠি (২৬) এবং পঞ্চগড় (২৭ নং খিত্তা)।

নিরাপত্তা: ইজতেমা উপলক্ষে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। ময়দান ও আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আজ থেকে পুলিশ, র‌্যাব ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পাঁচ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হবে। র‌্যাব ১৮ প্রবেশপথসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৬০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসিয়েছে। সংস্থাটি আটটি ও পুলিশ পাঁচটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার বসিয়েছে। ১৬টি গাড়িসহ ফায়ার সার্ভিসের ১২০ সদস্য সতর্ক রয়েছেন।

বিশেষ ট্রেন ও বাস: বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের সুষ্ঠু যাতায়াতের জন্য ২৮টি বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। কর্তৃপক্ষ বলছে, আন্তঃনগর, মেইল ও লোকাল ট্রেনে অতিরিক্ত ২০টি কোচ সংযোজন করা হবে। সব মিলিয়ে বিশেষ ট্রেন সার্ভিসের মাধ্যমে দেড় লাখ অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হবে।

চিকিৎসা সেবা: ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে ব্যাপক প্রস্তুতি হাতে নেয়া হয়েছে। টঙ্গী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ব্যাপক ব্যবস্থা নিয়েছে। এছাড়াও টঙ্গী থানা প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ দেবে।

টঙ্গী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার জানান, চুরি, ছিনতাই রোধসহ মাদক ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ এবং এলাকার বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম বন্ধে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

গাজীপুরের পুলিশ সুপার মো. হারুন-অর-রশিদ জানান, টঙ্গী ও আশপাশ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই