বিশ্বে গড় আয়ুতে বাংলাদেশ নবম
বিশ্বে মানুষের গড় আয়ুর হিসাবে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান নবম। আর সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে তৃতীয়। প্রতি বছরই বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বাড়ছে। গত ১৫ বছরে দেশের মানুষের গড় আয়ু ৬ দশমিক ৫৩ বছর বেড়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭১ দশমিক ৮ বছর। প্রতিবেশী দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার ও আফগানিস্তানের মানুষের গড় আয়ুর তুলনায় যা অনেক বেশি।
ভারতে মানুষের গড় আয়ু ৬৮ দশমিক ৩, পাকিস্তানে ৬৬ দশমিক ৪, মিয়ানমারে ৬৬ দশমিক ৬, নেপালে ৬৯ দশমিক ২, আফগানিস্তানে ৬০ দশমিক ৫ বছর।
তবে সার্কভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশের তুলনায় এগিয়ে আছে শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ। দেশ দুটির মানুষের গড় আয়ু যথাক্রমে ৭৪ দশমিক ৯ ও ৭৮ দশমিক ৫ বছর।
সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রকাশিত হেলথ বুলেটিন-২০১৬ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গত কয়েক বছরে স্বাস্থ্যখাতের বিভিন্ন সূচকে ব্যাপক উন্নতি গড় আয়ু বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে এতে উল্লেখ করা হয়।
প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা গেছে- সার্কভুক্ত দেশসমূহ ছাড়াও গড় আয়ুর হিসাবে বাংলাদেশ নাইজেরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ফিলিপাইন, ইরাক, ইন্দোনেশিয়া, উজবেকিস্তান, ভুটান, কাজাকিস্তান ও ই্উক্রেনের চেয়ে ভাল অবস্থানে রয়েছে।
তবে বাংলাদেশের চেয়ে গড় আয়ুতে এগিয়ে আছে জাপান (৮৩ দশমিক ৭), অষ্ট্রেলিয়া (৮২ দশমিক ৮), আমেরিকা (৭৯ দশমিক ৩), মালদ্বীপ (৭৮ দশমিক ৫), ইরান (৭৫ দশমিক ৫), শ্রীলঙ্কা (৭৪ দশমিক ৯), থাইল্যান্ড (৭৪ দশমিক ৫) ও সৌদি আরব (৭১ দশমিক ৮) বছর।
গত ১৫ বছরের বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বাড়ার তুলনামূলক চিত্রে দেখা গেছে- ২০০০ সালে গড় আয়ু ছিল ৬৫ দশমিক ২৭ বছর, ২০০১ সালে ৬৫ দশমিক ৮২, ২০০২ সালে ৬৬ দশমিক ৩৪, ২০০৩ সালে ৬৬ দশমিক ৮১, ২০০৪ সালে ৬৭ দশমিক ২৮, ২০০৫ সালে ৬৭ দশমিক ৭৭, ২০০৬ সালে ৬৮ দশমিক ২৪, ২০০৭ সালে ৬৮ দশমিক ৬১, ২০০৮ সালে ৬৯ দশমিক ১২, ২০০৯ সালে ৬৯ দশমিক ৫৩, ২০১০ সালে ৬৯ দশমিক ৯৪, ২০১১ সালে ৭০ দশমিক ৩১, ২০১২ সালে ৭০ দশমিক ৬৭, ২০১৩ সালে ৭০ দশমিক ১, ২০১৪ সালে ৭০ দশমিক ৩৯ ও ২০১৫ সালে ৭১ দশমিক ৪ বছর।
মন্তব্য চালু নেই