বিশ্বের সেরা ১০টি কারখানার মধ্যে ৭টিই বাংলাদেশের

বিশ্বের সেরা ১০টি পরিবেশবান্ধব কারখানার মধ্যে ৭টিই বাংলাদেশের। পরিবেশবান্ধব স্থাপনা নিয়ে কাজ করা মার্কিন প্রতিষ্ঠান ইউএসজিবিসি (U.S. Green Building Council)’এর বিচারে বাংলাদেশের এই অর্জন উঠে এসেছে। এগুলোর সবই তৈরি পোশাক কারখানা।

যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থাটি লিড (Leadership in Energy and Environmental Design) নামে পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ প্রদান করে থাকে। সম্প্রতি বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর অনুরোধে ইউএসজিবিসি বিশ্বের পরিবেশবান্ধব শিল্প স্থাপনার একটি তালিকা পাঠিয়েছে। যেখানে বিশ্বের শীর্ষ পরিবেশবান্ধব শিল্পকারখানা হিসেবে স্থান পেয়েছে নারায়ণগঞ্জের আদমজী রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার পোশাক কারখানা ‘রেমি হোল্ডিংস’ । এই প্রতিষ্ঠানটি ১১০ নম্বরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯৭ পেয়েছে।

দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে আছে নিট পোশাক উৎপাদক প্রতিষ্ঠান নারায়ণগঞ্জের ‘প্লামি ফ্যাশনস’। আয়ারল্যান্ডের একটি শিল্পকারখানার সঙ্গে যৌথভাবে তৃতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশের ‘ভিনটেজ ডেনিম স্টুডিও’। চতুর্থ অবস্থানে আছে ইতালির চামড়াজাত পণ্য উৎপাদক ‘বত্তেগা ভেনতা আর্টিলার’ ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবান প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ‘মেথড প্রোডাক্টস পিবিসি’।

তবে ৫ম অবস্থানে রয়েছে ময়মনসিংহের ‘এসকিউ সেলসিয়াস ২’ নামের পোশাক কারখানা। ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের ‘এফজিএল-তান পু এক্সপানশন’। সপ্তম অবস্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রিন্সটেল’। চীনের ফক্সকন গুজিহুউ রয়েছে অষ্টম অবস্থানে। নবম অবস্থান অধিকার করেছে চীন, বাংলাদেশ, তাইওয়ান ও মেক্সিকোর ১০টি কারখানা। এগুলোর মধ্যে জেনেসিস ওয়াশিং, এসকিউ কোলব্লেনস ও এসকিউ বিরিকিনা পোশাক কারখানা ৩টিই বাংলাদেশের। আর যৌথভাবে দশম অবস্থান অধিকার করেছে জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র ও চেক রিপাবলিকের তিনটি শিল্প স্থাপনা।

নয়টি শর্ত পালন ছাড়া ইউএসজিবিসি’র লিড সনদ পাওয়া যায়না। সেগুলো হচ্ছে, কম কার্বন নিঃসরণ হয় এমন নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা। কারখানার ৫০০ মিটারের মধ্যে শ্রমিকদের জন্য বাড়ি, স্কুলসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রাখা। বিদ্যুৎ খরচ কমাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করা। পানি সাশ্রয়সহ ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমাতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখা। কারখানাসহ অন্য ভবন নির্মাণের নির্দিষ্ট পরিমাণ খোলা জায়গা রাখা। শ্রমবান্ধব ও উন্নত কর্মপরিবেশ। উৎপাদনে সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার।

কলকারখানা ছাড়াও সংস্থাটির অধীনে বাণিজ্যিক ভবন এবং স্কুল কলেজ, হাসপাতাল, প্রার্থনাকেন্দ্রের মতো স্থাপনা পরিবেশবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলা হয়। আবার ভবন নির্মাণ করে কিংবা পুরোনো ভবন সংস্কার করেও আবেদন করা যায়।

সূত্র: ইউএসজিবিসি



মন্তব্য চালু নেই