বিশ্বের সবথেকে বেশি বিক্রি হয় যে ১০টি জিনিষ!

কোকা-কোলা: পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে ঠিকঠাক রাস্তা নেই, খাবার জল নেই অথবা সেখানে আলো পৌঁছয় না। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। অবাক করার কথা হলো যেসব জায়গায় এইসব প্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছয় না সেখানেও পৌঁছে যায় কোকা-কোলা।

গোটা বিশ্বে প্রতি ৮ জনে ২ জন নিয়মিত কোকা-কোলা খান। এইসব কোকা-কোলা ভক্তদের সৌজন্যে দিনে প্রায় ১.৮ বিলিয়ন কোকা-কোলা বিক্রি হয় যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৬ শতাংশ। বিশ্ববাজারের এরকম আরও কয়েকটি ‘বেস্ট সেলিং’ জিনিস যাদের বিক্রি তাক লাগিয়ে দেবে:

লে’জ পটাটো চিপস: ৯ হোক বা ৯০, সব বয়সের লোকেদেরই পছন্দ লে’জ পটাটো চিপস। তাই বিক্রিও আকাশ ছোঁয়া। শুধু আমেরিকাতেই বছরে ৬৩৩ মিলিয়ন ব্যাগ লে’জ বিক্রি হয়। যা একটি এয়ারক্রাফট ক্যারিয়রের ওজনের থেকেও বেশি।

টয়োটা করোলা: ১৯৬৬ থেকে ৪০.৭ মিলিয়ন টয়োটা করোলা বিক্রি হয়েছে। যা নিঊ ইয়র্ক থেকে লস এঞ্জলসের দূরত্বের ৪৮ গুণের সমান।

প্লে স্টেশন: বিশ্বের বহুবিক্রিত জিনিসগুলোর একটি হলো প্লে স্টেশন। ১৯৯৫ থেকে ৩৪৪ মিলিয়ন প্লে স্টেশন বিক্রি হয়েছে। এইসব প্লেস্টেশনকে একত্র করলে দাঁড়াবে দুটি গোল্ডেন গেট ব্রিজের ওজনের সমান।

আই প্যাড: গোটা পৃথিবীর বাইরে যদি একটা আইফোনের কক্ষপথ হত তবে কেমন হত? ২০১০ সাল থেকে মোট ২১১ মিলিয়ন আইপ্যাড বিক্রি হয়েছে যা পরপর সাজালে পৃথিবীর ব্যসের সমান হবে।

অ্যাঙ্গরি বার্ডস: একজন মানুষ আরএক জনের ওপর রাগ করে থাকবে, এটা কারওরই খুব একটা পছন্দ হয় না। কিন্তু পাখি রাগ করলে তার ‘ডিমান্ড’ গোটা বিশ্বজুড়ে। তবে এ পাখি সে পাখি নয়। এ পাখি গেমের পাখি অর্থাৎ ‘অ্যাঙ্গরি বার্ডস’। এ পর্যন্ত যত সংখ্যক অ্যাঙ্গরি বার্ডস ডাউনলোড হয়েছে তা গোটা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ২৯ শতাংশ।

মাইকেল জ্যাকসনের ‘থ্রিলার’ অ্যালবাম: মাইকেল জ্যাকসন, নামটাই বলে দেয় যে তার সঙ্গে যুক্ত সবকিছুই হবে অবাক করা। জ্যাকসনের ‘মুন ওয়াক’ যেমন মানুষকে হাঁ করিয়ে দেয় তেমনই অবস্থা হবে তার ‘থ্রিলার’ অ্যালবামের বিক্রির সংখ্যাটা শুনলে। ১৯৮২ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ৭০ মিলিয়ন বিক্রি হয়েছে মাইকেল জ্যাকসনের ‘থ্রিলার’ অ্যালবাম।

হ্যারি পটার: ঠাকুরমার ঝুলি বা ঈশপ ফেবলস, দেশের নাম যাই হোক সব খুদেদেরই পছন্দ রূপকথার গল্প। কিন্তু গত কয়েকবছর ধরে এই রূপকথার গল্প শুধু ‘হ্যারি পটার’-এই আটকে গেছে। ১৯৯৭ থেকে ২০১২ পর্যন্ত প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন হ্যারি পটারের বই বিক্রি হয়েছে যা বিশ্বের গোটা বই বিক্রি সংখ্যার ৯০ শতাংশ।

আই ফোন: খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের মতোই এখন মানুষের জীবনের আরেকটি অপরিহার্য জিনিস হলো স্মার্টফোন। এই স্মার্টফোনের দুনিয়ায় একচ্ছত্র আধিপত্য জমিয়ে বসেছে অ্যাপল। ২০০৭ থেকে ২০১২, এই ক’বছরে আইফোনের বিক্রি ৫১৬ মিলিয়ন যা গোটা ইউরোপিয়নের জনসংখ্যার থেকেও বেশি।

রুবিকস কিউব: অবসর সময়ে বসে বসে বুদ্ধিতে শান দেওয়া, ব্যপারটা মন্দ নয়। শুধু তাই নয়, ব্যপারটা যে বেশ আকর্ষণীয় তা রুবিকস কিউবের বিক্রির সংখ্যাটা দেখলেই বোঝা যাবে। ১৯৮০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ৩৫০ মিলিয়ন রুবিকস কিউব বিক্রি হয়েছে। এই সংখ্যাটা হাঙ্গেরির জনসংখ্যার ৩৫ গুণ। -সূত্র: জিনিউজ।



মন্তব্য চালু নেই