বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল : ভূমিহীন হবে ৮ হাজার শ্রমিক
হবিগঞ্জের বেগমখান চা বাগানে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে ওই এলাকার আট হাজার শ্রমিক ভূমিহীন হয়ে পড়বে বলে দাবি করেছেন আদিবাসী ছাত্ররা।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা )’ করার অপকৌশল এবং চা শ্রমিকদের উচ্ছেদ ও আবাদী জমি কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে তারা এ দাবি জানান।
একই সঙ্গে তারা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিলেরও আহ্বান জানান।
সংগঠনটির সভাপতি অনন্ত ধামাইয়ের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি জনার্দিন দত্ত নান্টু, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সহ-সাধারণ সম্পাদক মোনালিসা চাকমা, গারো ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক টনি বিরান, হাজং ছাত্র নেতা তমাল হাজং, সাঁওতাল ছাত্র ইউনিয়নের প্রাক্তন সভাপতি সুবোট এম বাস্কে।
অনন্ত ধামাই বলেন, ‘হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের চান্দপুর-বেগমখান চা বাগানের কৃষি জমিতে সরকার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে প্রায় আট হাজার আদিবাসী ভূমিহীন হয়ে যাবে। এতে করে এই অঞ্চলের মানুষের জীবন আরও সংকটাপন্ন হয়ে পড়বে।’
এ সময় শ্রমিকদের পক্ষ থেকে তিনি চার দফা দাবি বাস্তবায়নেরও দাবি জানান। দাবিগুলো হলো- বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল অবিলম্বে বাতিল, চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন ও পার্বত্য শান্তি চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন।
মানববন্ধনে জনার্দন দত্ত নান্টু বলেন, ‘আদিবাসীদের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। তাই অধিকার রক্ষার আন্দোলনে সকল বাম সংগঠনগুলোকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।’
বক্তারা বলেন, চা শ্রমিকরা সেই ব্রিটিশ আমল থেকে শোষণের শিকার। তাদের জীবনমানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। উপরন্তু উচ্ছেদ করা হচ্ছে। অথচ এই আদিবাসীদের রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি। রয়েছে বাঁচার অধিকার।
মন্তব্য চালু নেই