বিরক্তিকর হেঁচকি, যা করলে দ্রুত হবে দূর!
হেঁচকি কোনও রোগ না, একটি সাধারণ সমস্যা। রোগ না হলেও, এটি বেশ বিরক্তিকর সমস্যা। এর সম্মুখীন আমরা সবাই হয়ে থাকি।
হঠাৎ হেঁচকি উঠলে কাজে তো মন বসেই না, বরং অন্যদের সামনে বিব্রত হতে হয়। কখনও কখনও একটানা অনেক ক্ষণ হেঁচকি চলতেই থাকে, কিছুতেই থামানো যায় না; তাহলে উপায়?
বিশেষজ্ঞদের মতে, হেঁচকি ‘সিঙ্ক্রোনাস ডায়াফ্র্যাগমাটিক ফ্লাটার বা সিংগাল্টাস’ নামে পরিচিত। হেঁচকি ওঠে যদি আমাদের ডায়াফ্রামের স্বাভাবিক কাজে কোনও বাধা সৃষ্টি হয়।এই বাধার কারণ অনেক যেমন : তাড়াতাড়ি খাওয়া, বেশি খাওয়া, অথবা খুব গরম বা খুব ঠাণ্ডা খাবার খাওয়া। হেঁচকি উপষমের অনেক উপায় আছে ও সারানোর পদ্ধতিও অনেক।
এই সব পদ্ধতির কার্যকারিতা ভিন্ন। তবে সেটা নির্ভর করে ডায়াফ্রামের প্রভাবের ওপর।
হেঁচকি সমস্যা সমাধনে বিশেষজ্ঞরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের মতে ঘরের সাধারণ উপকরণ দিয়েই এ সমস্যা সমাধান করা যায়, নিম্নে তা আলোচনা করা হল :
চিনি : স্নায়ুর ডগায় একটা মিষ্টি অনুভূতি আনতে পারলে হেঁচকি কমে। আপনি যে কোনও মিষ্টি খাবার খেতে পারেন। এর জন্য চিনি খুব ভালো কাজ করে। চিনি আপনার জিভের নীচে রাখুন , এবার দেখুন এক মিনিটে মিশে আপনার হেঁচকি কমিয়ে দিয়েছে।
পানি : পানি দিয়ে গার্গল করলেও ভেগাস স্নায়ুটি শান্ত হয়। সত্যি বলতে কী পানি দিয়ে আমরা সবাই সবসময় হেঁচকি সামাল দিয়ে থাকি। আর এটাই সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি।
টক : কোনও কিছু টক, যেমন ভিনিগারও দারুণ কাজ করে এইসব ক্ষেত্রে। টক ফ্রেনিক স্নায়ুর ওপর প্রভাব ফেলে, যেটা হেঁচকির চক্রটা ভাঙতে সাহায্য করে।এই টকের জন্য ইসোফিগাসে একটা বাধা পড়ে এবং কাজ হয় তাড়াতাড়ি।
মধু : এটা হেঁচকি থামানোর একটা দারুণ উপায়।মধুর সঙ্গে একটু গরম জল ভেগারস স্নায়ুতে একটা হালকা আলোড়ন সৃষ্টি করে।এর জন্য হেঁচকি সঙ্গে সঙ্গে হাওয়া হয়ে যায়!
২ চা চামচ মধু উষ্ণ গরম জলে দিন ও তারপর সেটা জিভের তলায় দিন, চট করে আরাম পাবেন।
শ্বাস ধরে রাখুন : শ্বাস বন্ধ করে রাখা হেঁচকি থামানোর জন্য একটা খুব প্রচলিত উপায়।নাকটা চেপে ধরুন ও মুখটা হাত দিয়ে চাপা দিয়ে রাখুন কম করে ৩০ সেকেন্ডের জন্য। দেখবেন হেঁচকি কমে গেছে।
কান বন্ধ করা : চিকিৎসকরা বলেন, কান বন্ধ করা একটা দারুণ উপায় হেঁচকি থেকে মুক্তি পাওয়ার। এটা করলে ভেগাস স্নায়ুটি চঞ্চল হয় যার সোজা প্রভাব পড়ে কানে শোনার ওপর। এর ফলে হেঁচকির তীব্রতা কমে যায় অনেকটা।
খাবার আস্তে খান : এ উপায়ে হেঁচকি দ্রুত থামানো যায়। তাড়াতাড়ি খাওয়ার সঙ্গে হেঁচকির একটা যোগসূ্ত্র আছে।আস্তে খেলে খাবারটা ভাল করে চেবানো হয় এবং হেঁচকির প্রবণতাও কমে।
এছাড়া বেশি খাবার খাবেন না, বেশি খেলে ভেগাস স্নায়ুতে ও ডায়াফ্রামে চাপ পড়ে, যার ফলে হেঁচকি ওঠে। আপনি যত বেশি খাবেন, তত বেশি হেঁচকি ওঠার আশংকা থাকে।
মন্তব্য চালু নেই