বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রীর বিস্তারিত নয়, যৌনাঙ্গের এই ছোট্ট পরিক্ষায় পাশ করলেই জীবন হবে সুখের!
কুণ্ডলী মিলনই কি যোটক বিচারের শেষ কথা? না। তার পরেও দেখা যায় একের পরে এক অসফল বিবাহ, তিক্ত থেকে তিক্ততর দাম্পত্যজীবন। কেন এমন হয়? উত্তরে জ্যোতিষই জানাচ্ছে, প্রত্যেক জাতকই কোনও না কোনও ‘যোনি’-তে অবস্থান করেন। সঠিক ‘যোনি বিচার’-ই সম্ভব করতে পারে সঠিক দাম্পত্য।
• জ্যোতিষ মতে, এই মহাজগতের প্রতিটি জীবিত সত্তা নির্দিষ্ট সংখ্যক নক্ষত্রের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এমন নক্ষত্রের সংখ্যা ২৮টি। এই ২৮টি নক্ষত্র আবার বেশ কিছু ‘যোনি’-তে বিভক্ত।
• জ্যোতিষের হিসাব অনুযায়ী, ‘যোনি’-র সংখ্যা ১৪। অর্থাৎ, প্রতি ‘যোনি’-তে ২টি করে নক্ষত্র অবস্থান করে।
• ‘যোনি’গুলি যথাক্রমে— অশ্ব, গজ, মেষ, সর্প, শ্যেন, মার্জার, মূষিক, গো, মহিষ, ব্যাঘ্র, মৃগ, বানর, নকুল এবং সিংহ। এই পশুগুলির স্বভাব ও একে অন্যের প্রতি মনোভাবের নিরিখেই নির্ধারিত হয় ‘যোনি’-চরিত্র।
• ‘যোনি মিলন’ বিচারের আবার কিছু পন্থা রয়েছে। এগুলি নীচে আলোচিত হল।
১. স্বভাব যোনি— পাত্র ও পাত্রী, উভয়ের ‘যোনি’ যদি স্ব-ভাবাপন্ন হয়, অর্থাৎ পাত্র ও পাত্রী দুজনেই যদি অশ্ব বা মেষ বা সিংহ হয়ে থাকেন, তাহলে বিবাহ সফল হবেই।
২. মিত্র যোনি— যদি পাত্র ও পাত্রী উভয়ের ‘যোনি’ যদি মিত্রভাবাপন্ন হয়ে থাকে, তাহলে দাম্পত্য জীবনও হবে বন্ধুত্বপূর্ণ।
৩. উদাসীন যোনি— যদি এমন হয়, পাত্র ও পাত্রী, উভয়ের ‘যোনি’ পরস্পরের প্রতি উদাসীন, তা হলে বিবাহ হয়তো টিকে থাকবে, কিন্তু প্রকৃত দাম্পত্যসুখ ঘটবে না।
৪. শত্রু যোনি— যদি পাত্র ও পাত্রির ‘যোনি’ পরস্পরের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন হয়, তা হলে সেই বিবাহ না-হওয়াই বাঞ্ছনীয়। অর্থাৎ ব্যাঘ্রের সঙ্গে মেষের, সিংহের সঙ্গে মৃগের বিবাহ না-হওয়াই কাঙ্ক্ষিত।
৫. মহাশত্রু যোনি— যদি পাত্র ও পাত্রির ‘যোনি’ চরম শত্রুভাবাপন্ন হয়, তা হলে সেই বিবাহ নৈব নৈব চ। যেমন সর্প ও নকুল।কলকাতা২৪
মন্তব্য চালু নেই