বিমানে চড়ার ক্ষেত্রে এড়িয়ে চলুন এই খাবারগুলো

বিমানে চড়ার আগে আপনি কী খাবার গ্রহণ করছেন, সেটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কতখানি ঠিক, আদৌ ঠিক কি না কখনো ভেবে দেখেছেন কি? ফ্লাইটে সিট ঠিক না থাকা, দেরি হওয়া, টিভি স্ক্রিনে সমস্যা সহ অনেক সমস্যাই থাকতে পারে। তার সাথে যদি যোগ ভুলভাল খাওয়ার অসুস্থ্যতা সেটি কি ভাল হবে? তাই নিজেই একটু সচেতন হোন। আসুন জেনে নিই, কোন খাবারগুলো খুব পছন্দের হলেও এড়িয়ে যেতে হবে ফ্লাইটের আগে।

ফাস্ট ফুড
আপনি হয়তো ভাবছেন, সবচেয়ে সহজলভ্য খাবারটিই কি করে আপনার সমস্যা করতে পারে! হ্যাঁ, ফাস্ট ফুড সহজলভ্য। কিন্তু ভাল যে নয় তা তো অনস্বীকার্য। আর আপনার শরীর যখন ৩৫,০০০ ফুট উপরে উঠে যাবে তখন সবসময়ই গ্রহণ করেন এমন খাবারও হজম করতে সমস্যা হতে পারে। ফাস্ট ফুডের ফ্যাট হজমে সমস্যা তৈরি করে। বিজ্ঞানীরা বলেন, দ্রবণীয় চর্বি রক্ত চলাচলে বাঁধা দান করে, যার ফলে গভীর শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে যেতে পারে।

অ্যালকোহল
অ্যালকোহল আছে এমন পানীয় এড়িয়ে চলা উচিৎ আপনার। বিয়ার বা ভদকা পান করতে তাৎক্ষণিক ভাবে ভাল লাগলেও এর কারণে ডিহাইড্রেশন হয়। ফ্লাইটে আমরা যে বাতাস গ্রহণ করি তাতে জলীয়বাষ্প থাকে খুবই কম মাত্রায়। এর কারণেই বিমানারোহীরা পানিশূন্যতায় ভুগতে পারে। তার উপর আপনি যদি আবার অ্যালকোহল গ্রহণ করেন তাহলে তো নিজেই আরও ক্ষতি করে ফেললেন নিজের। ফ্লাইটে এমন ঝুঁকি না নেওয়াই উত্তম।

কপি জাতীয় সবজি
বিমানের কেবিনে বাতাসের প্রচুর চাপ থাকে। কিন্তু সেটা কখনোই সাধারণ আবহাওয়ার মত নয়। আপনি জানেন কি, টেক অফের পর কেবিনের প্রেসার কমে যায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত? এর ফলে পাকস্থলি এবং ক্ষুদ্রান্তে বাতাস প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রবেশ করে এবং এদের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে ব্যহত করে। তাই ব্রকলি, ফুল কপি, বাঁধা কপির মত সবজি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন যা আপনার পেটে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে এবং পেট ফাঁপা সমস্যার সম্মুখীন করতে পারে।

বিন জাতীয় খাবার
সীমের বীচি বা এ জাতীয় খাবার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার জন্য দায়ী। সহজে হজম হয় না এমন সব চিনি এবং আঁশ থাকে এসব খাবারে। তাই এড়িয়ে চলাই ভাল। কারণ প্লেনে আপনার যত হজমের সমস্যা হবে ততই বিপদ। পেট ফেঁপে থাকা এত লম্বা ভ্রমণের জন্য খুবই অস্বস্তিকর।

রসুন
রসুন খুবই ভাল খাবার। কিন্তু এটি আপনার শ্বাস-প্রশ্বাসকে ধীর করে। রসুনে থাকে সালফিউরিক যৌগ যা ফুসফুস শুষে নেয়। বিমানে বাতাস কম থাকায় এটা খুবই মারাত্মক ঝুঁকি তৈরী করতে পারে। নাহলে রসুন খুবই ভাল খাবার, সন্দেহ নেই। কিন্তু যখন আপনি বিমানে চড়বেন খাবার থেকে বাদ দিন রসুন। এমনকি আগে খেয়ে থাকলে দাঁত ব্রাশ করে ফেলুন।

এয়ারপ্লেন থেকে সরবরাহকৃত পানি, বরফ, কফি এবং চা
অবশ্যই প্লেনে থাকাকালীন শরীরে পানি সরবরাহ করা জরুরী। কিন্তু নিজস্ব বোতল বহন করুন। পরীক্ষায় দেখা গেছে, প্লেনের পানি ঠিক মত পরিশুদ্ধ করা হয় না। এগুলো ট্যাঙ্ক ওয়াটার এবং নানান রকম ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত।



মন্তব্য চালু নেই