বিমানের নিয়ম ভেঙ্গে যিনি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, আজ তার গল্প শুনুন
তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একজন ফ্লাইট স্টুয়ার্ট। তিনি মানবতার পাশে থেকে, মানবিক কারনে বিমানের নিয়ম ভেঙ্গেছেন। দেশের মানুষের সেবা করতে পেরে তিনি গর্বিত। আইন নিয়ম কানুন মানুষের জন্য, নিয়মের জন্য মানুষ নয়। আমরা বলছি একজন রাউফুর রহমান অনিকের কথা। বিমানের এই ফ্লাইট স্টুয়ার্টের নিজের মুখেই শুনি সেদিন কি করেছিলেন তিনি…
Yes! I break Biman rules and I am not guilty with it.
ছবিতে যাদের দেখছেন তারা কোন চোর বা ডাকাত না। তারা আমাদের ভাই। তাঁরা নিজের ও তাঁদের পরিবারের সুন্দর একটি জীবন দেবার আশায় , ভিটামাটি বিক্রি করে, নিজেদের জীবনের বাজি রেখে ট্রলার করে মালয়েশিয়া যাবার পথে ধরা পরে।
বেদম মার দেবার পর সেখানে তাঁদের ৪ মাস জেলে রাখা হয়। খাবার হিসেবে দিনে দেওয়া হতো এক মুট ভাত আর অল্প শুটকি মাছ পানিতে শিদ্ধু করে। খাবার পানি ছিল ময়লা আর সবার ঘর স্যাঁতস্যাঁতে।
Plane এ আশার পর তাঁদের প্রথম juice আর nuts দেবার সময় বুঝে গিয়েছিলাম তাঁরা কতটুকু ক্ষুধার্ত।
আমার area তে ১০৮ জনের মাঝে তারাই ছিল ১০২ জন।
সবাইকে juice দেবার পর যখন তাঁদের জিজ্ঞেস করা হল কেউ Extra juice খাবে কিনা তখন সবাই হাত তুলে চাইলো।
আমার area তে খাবার ছিলো ১১২ টি, juice ছিলো ২৮ লিটার, soft-drinks ছিল ২০ লিটার।
সব কিছুই তাঁদের খাওয়ানো হলো, তার পরো তাঁদের ক্ষুধা মিটে নি। পরবর্তীতে তাঁদের পাশের galley থেকে খাবার এনে খাওয়ানো হলো, তারপরও তাঁদের ক্ষুধা মেটানো গেলো না।
বলে রাখা ভালো তাঁদের আমি নিজে নিম্নে ২৫ লিটার পানি খাইয়েছি।
ঢাকায় landing এর আগ মুহূর্তে আমি যখন আমার galley secure করছি তখন একজন এসে আমাকে বললেন,
“ স্যার আমাকে একটু খাবার দেওয়া যাই, খুব ক্ষুধা লাগছে”
আমি বললাম,
“ আপনি না, ১০ মিনিট আগে খাবার খেলেন?”
সে বললেন,
“ ক্ষুধা তু আর মিটে নাই ” !
আমিও জানি ৪ মাস খাবার না খেয়ে থেকে এই ৫০০ গ্রামের এক ফয়েল খেয়ে কিছু হই না কিন্তু আমার কাছে কোন Pax food ছিল না।
পরে, আমি আমার নিজের crew food টা তাকে দিয়ে দিলাম, সে তা নিয়ে মেঝেতে বসে খাওয়া শুরু করে দিল।
তার দেখা দেখি আরও দুইজন এসে আমার পা ধরে বসলো,
বললেন,
“ স্যার আল্লার রস্তে আমাগো দুইডা খাইতে দেন ”
I was shocked, what they are doing!!
Seat belt sign is on, we shall be landing within 15 minutes,
আর তাঁরা আমাকে এই ভাবে request korche!!
Rashad vi এর খাবার JP arman স্যার এর crew খাবার তাঁদের দিয়ে দিলাম,
বললাম তাঁদের,
“ তাড়াতাড়ি খেয়ে সীট এ যেতে হবে, আমরা এখনি land korbo!! ”
তাঁরা দাড়িয়ে হাত দিয়েই ৩ মিনিটে সব টুকু শেষ করে দিলেন।
তাঁদের হাত ধুতে ধুতে captain বললেন,
“cabin crew landing in two mintues ”
Landing এর পর Rashad ভাই নিজ পকেট থেকে ২০০-২৫০ টাকা দিয়ে দিলো জেনো তাঁরা অন্তত পক্ষে নিজ বাড়িতে একটা ফোন করতে পারে।
আমি Slide disarm করে আমার ফোন দিয়ে জোতটুকু পেরেছি তাঁদের পরিবারে ফোন দিতে দিয়েছি।
Jp Arman sir আর রাশাদ ভাই এর মতো মানুষ খুব কমই আছে পৃথিবীতে।
আমরা crew রা plane এ কতো ধরনের বাধার মুখোমুখি হই, তা শুধু আমরাই জানি,
Sometimes we have to breaks our rules for the humanity.
We should always remember that, “Rules are for human, human’s are not for rules”
I PROUD WITH MY JOB!
I PROUD WITH MY AIRLINES
I PROUD BECAUSE I AM A FLIGHT STEWARDS AND I SERVE TO MY PEOPLE..
মন্তব্য চালু নেই