বিপিএল : চট্টগ্রামে দর্শকের ঢল

আয়োজনের পার্থক্যটা এবার অনেক, তবে ফলাফলে ভেদাভেদ নেই। এই তো গত আসরেই যখন হোটেল থেকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এসেছিলাম, তখন রাস্তায় রাস্তায় ব্যানার ফেস্টুন ছাড়াও সাগরিকার মোড় থেকে স্টেডিয়ামের প্রবেশ পথে বড় গেট দিয়ে সাজানো হয়েছিল। কিন্তু এবার তার ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি। জুবলি রোড় থেকে জিইসি মোড় ও খুলশি পার হয়ে সাগরিকার মোড়ে কোনো তোরণ তো দূরের কথা কোনো ব্যানার বা ফেস্টুনও দেখা যায়নি। বিপিএল নিয়ে নেই তেমন কোনো প্রচার-প্রসার। কিন্তু তার পরেও বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের গ্যালারি ছিল পূর্ণ।

তবে এদিন ম্যাচের প্রথম ইনিংসে তেমন দর্শক দেখা যায়নি। দ্বিতীয় ইনিংসের মাঝামাঝি অবস্থায় প্রায় ভরে ওঠে গ্যালারি। প্রায় ১৫ হাজার দর্শক উপস্থিত স্টেডিয়ামে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে এর পরিমাণ আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এবারের আসরে কমতি নেই তারকাদের উপস্থিতি। গত আসরের চেয়ে এবার অনেক বেশি চার-ছক্কা দেখছেন দর্শকরা। উইকেট ভালো থাকায় বড় বড় স্কোর দেখছে তারা। দলও বেড়েছে। ফিরে এসেছে রাজশাহী ও খুলনা। তাই স্বাভাবিকভাবেই আগ্রহ বেড়েছে দর্শকদের। তবে অন্যান্যবারের মতো আলাদা করে প্রচারণা নেই বিসিবির।

চট্টগ্রামের দর্শকরা বরাবরই ক্রিকেট পাগল। বাংলাদেশের বড় বড় জয় এখানেই এসেছে। তাই লাকিগ্রাউন্ডে ফিরে আসার পর প্রাণ ফিরে পেয়েছে বিপিএলও। স্থানীয় এক ক্রিকেট ভক্ত সুমন জানালেন, ‘আগের আসরগুলোতে বিপিএল নিয়ে অনেক তোড়জোড় ছিল। কিন্তু এবার কেমন যেন ম্যাটমেটা। কিন্তু আমি খেলা পাগল মানুষ তাই চলে আসলাম বন্ধুকে নিয়ে। আর টিকিটের দামও অনেক বেশি। তাই খুব বেশি খেলা দেখা যাবে না। তার পরেও ক্রিকেট থাকলে যে করেই হোক ম্যানেজ করে চলে আসি।’

আন্তর্জাতিক ম্যাচের মতো এবারও অভিযোগ উঠেছে টিকিট কালোবাজারির। শাহেদ নামে একজন বললেন, ‘সকালে এম এ আজিজে দাঁড়িয়ে ছিলাম টিকিট কাটার জন্য। কিন্তু আমাকে বলা হয়েছে গ্যালারির কোনো টিকিট নেই। গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড বা ক্লাব হাউজের টিকিট ছাড়া কোনো টিকিট নেই। ওইসব টিকিটের নুন্যতম মূল্য ৫০০ টাকা। আমি ছাত্র মানুষ, কীভাবে কিনি? অথচ ব্ল্যাকেই ঠিকই টিকিট আছে গ্যালারির।’

এবারের আসরে টিকিটের জন্য গুণতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। ১৫ শতাংশ ভ্যাটের কারণে দুইশত টাকার টিকিট ২৩০ টাকা। পাঁচশত টাকার টিকিট ৫৯০ টাকা। আর বাড়তি টাকা গুণতে হচ্ছে সাধারণ দর্শকদেরই। আর মাঠে খেলা দেখতে আসে অধিকাংশই ছাত্ররা। তাদের জন্য এটা কষ্টসাধ্যই হয়ে যায়। কিন্তু তার পরেও থেমে নেই দর্শকদের উম্মাদনা।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে বিপিএল প্রাণ ফিরে পেলেও এবারের আসরে ঢাকার প্রথম পর্বেও দর্শক খরা দেখা গিয়েছিল উল্লেখ করার মতো। একমাত্র শুক্রবার ছাড়া গ্যালারি ছিল অনেকটা শূন্য।



মন্তব্য চালু নেই