‘বিনা প্রশিক্ষণে কেউ বিদেশ যেতে পারবে না’
বিনা প্রশিক্ষণে কেউ বিদেশ যেতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার জাতীয় যুব দিবস ২০১৬ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ওসমানী মিলনায়তনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে যুবকরা যাতে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে পারে সেজন্য আমরা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি।
অবৈধ পথে বিদেশগামীদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারো কথায় প্ররোচিত না হয়ে নিজের জীবনকে কেউ যেন ঝুঁকিতে ফেলতে না পারে। ‘বাংলাদেশে বহুমুখী কর্মসংস্থান আমরা করছি। আমরা চাই না আমাদের যুবকরা বিপথে চলে যাক- মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ুক।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ। আর এই কাজ বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের যুবকদের প্রশিক্ষিত করে তুলতে হবে। আর এটা সম্ভব, কারণ আমাদের আছে শক্তিশালী যুবসমাজ।
‘আমরা সব জেলায় প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্থাপন করে যাচ্ছি। যুবকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রশিক্ষণ নেওয়া যুবকদের ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। যাতে করে তারা নিজেরাই কিছু করতে পারে। আমরা যুবকদের মানবসম্পদে পরিণত করতে চাই। আর সেই অনুযায়ী কাজ করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন শিক্ষানীতি গ্রহণ করেছি। সেখানে ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছি এবং এতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এখন যুব নারীরাও প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। কর্মক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘চাকরির জন্য দ্বারে দ্বারে না ঘুরে যেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা করছি। এ জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে জামানত ছাড়া ২ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হয়। যুবকেরা জামানত ছাড়া ঋণ নিয়ে নিজের কাজের ব্যবস্থা করতে পারে। পাশাপাশি অন্যের কাজের ব্যবস্থা করতে পারে তারা।’
তিনি বলেন, ‘বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে জনগণ যাতে প্রতারিত না হয় সেই কাজ করে যাচ্ছে সরকার। যারাই বিদেশে যাবে, তারা প্রশিক্ষণ ছাড়া যেতে পারবে না। যাতে সেখানে গিয়ে কোনো ধরনের দুর্ঘটনায় না পড়ে। সঠিকভাবে বেতন পাবে কি না, সত্যিকারে কোনো কাজ আছে কি না এসব বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই না, যুব সমাজ ভুল পথে চলে যাক। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে যুবকদের দূরে থাকতে হবে, শান্তির ধর্ম ইসলামে জঙ্গিবাদের জায়গা নেই। মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ এগুলো থেকে দূরে থেকে নিজের মেধাকে কাজে লাগাতে হবে। তাহলে পরিবার, সমাজ ও দেশের উন্নতি হবে।’
তিনি বলেন, ‘যুব সমাজকে মনে রাখতে হবে, আমরা বিজয়ী জাতি। কারো কাছে হাত পেতে নয়, আমরা বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলব। স্বাধীনতা অর্জন যত কঠিন, তা ধরে রেখে জনগণকে সেবা দিয়ে যাওয়া আরো কঠিন। সেই কঠিন কাজ আমরা করে যাচ্ছি। কারণ আমাদের আছে যুব সমাজ।’
মন্তব্য চালু নেই