বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতারে আইন হচ্ছে

টোলঘরের কাছে জটলা সৃষ্টি করলে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আরোপ এবং বিধি ভঙ্গের দায়ে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করার বিধান রেখে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৬ বিল জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছে।

দশম জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশনে সোমবার রাতে বিলটি উত্থাপন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পরে বিলটি পরীক্ষা পূর্বক রিপোর্ট প্রদান করার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।

বিলের ধারা ২৮-এ বলা হয়, কোন সেতু, টানেল টোল সড়ক বা কর্তৃপক্ষের আওতাধীন অন্য কোন স্থাপনায় যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করলে, প্রাচীর, বেড়া, চিহ্ন, প্রতিক বা সংকেত ধ্বংস বা ক্ষতি করলে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। ধারা ২৮-এর অধীনে অপরাধ করলে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করা যাবে।

উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আদালতের রায়ে সংবিধানের চতুর্থ তফসিলের ১৯ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হওয়ায় যমুনা বহুমুখী সেতু কর্তৃপক্ষ অধ্যাদেশ ১৯৮৫ এবং ২০০৯ সালে নাম যমুনা বহুমুখী সেতু কর্তৃপক্ষ ২০০৯-এর কার্যকারিতা লোপ পায়। আইনের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সেতু, টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নিমার্ণ ও রক্ষণা-বেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ নামে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা ও বিধান প্রণয়নের জন্য বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৬ বিলটি সংসদে উত্থাপন করা হল।

এদিকে বাংলাদেশে চায়ের উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ চা বোর্ড’ গঠন ও বোর্ডকে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে চা আইন, ২০১৬ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

নতুন এই আইন অনুযায়ী চা শিল্পের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ চা বোর্ড কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে। আইন অনুযায়ী ফৌজদারী কার্যবিধিতে যা কিছুই থাকুক না কেন, বোর্ড বা বোর্ড কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির নিকট হইতে লিখিত অভিযোগ ব্যতিত কোন আদালত এই আইনের অধীনে কোন মামলা গ্রহণ করিবে না। এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট বা ক্ষেত্রমত মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হইবে। এই আইনে ভিন্নরূপ যা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ, যেক্ষেত্রে যতটুকু প্রযোজ্য, মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সালের ৫৯ নং আইন) এর তফসিলভুক্ত করিয়া বিচার করা যাবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চায়ের উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন চা বাগান প্রতিষ্ঠা, বিদ্যমান চা বাগানগুলোর উন্নয়ন, পরিত্যক্ত চা বাগান পুনর্বাসন, বাংলাদেশে উৎপাদিত চায়ের ওপর উপকর আরোপ, সার্বিকভাবে চা শিল্পের উন্নতি সাধন এবং সহায়ক অন্যান্য বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে ১৯৭৭ সালের ২৯ জুলাই ‘দ্য টি অর্ডিনেন্স’ জারি করা হয়।

অধ্যাদেশের কতিপয় ধারা সংশোধন ও সংযোজনের লক্ষ্যে পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালের ১ মার্চ ‘দ্য টি (সংশোধন) অর্ডিনেন্স, ১৯৮৬’ জারি করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই