বিধবাকে বিয়ে করায় ছেলেকে মরা মায়ের দেহ ছুঁতে দিল না পঞ্চায়েত!
বিধবাকে বিয়ে করায় পঞ্চায়েতের নির্দেশে মায়ের শেষকৃত্যে দেহ ছুঁতে দেওয়া হল না ছেলেকে! পঞ্চায়েতি ‘মাতব্বরি’র দৃষ্টান্ত দেখা গেল ভারতের কানপুরের নউবাস্তায়।
মিঠুন বাল্মীকি নামে ওই যুবক এক বছর আগে তাঁর চেয়ে বয়সে বড় এক বিধবা মহিলাকে বিয়ে করেন। সেই মহিলার আগের পক্ষের ছটি সন্তানও আছে। বিধবাকে জীবনসঙ্গী করে বাল্মীকী ‘সমাজের নিয়ম ভাঙা’র জন্য তাঁকে মরা মায়ের দেহ স্পর্শ করতে দেওয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
দীর্ঘ রোগভোগের পর গতকাল এখানকার হাসপাতালে মারা যান তাঁর মা রামরতী দেবী। মায়ের মৃত্যুশয্যায় মিঠুন ছিলেন। কিন্তু শেষকৃত্যে তাঁকে ব্রাত্য করে ফতোয়া দেয় পঞ্চায়েত।
মিঠুন বলেছেন, বিধবা মহিলাকে বিয়ে করায় সমাজ থেকে বিতাড়িত করা হয় আমাকে। মা চলে গেলেন। কিন্তু আমাকে তাঁর দেহ ছুঁতে দেওয়া হল না। বিয়ের পরই গ্রাম ছেড়ে চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় ফিরে আসি।
মিঠুন এখন থাকেন মিতা সরাই গ্রামে।
ঘটনাটি স্বীকার করে বাল্মীকী গোষ্ঠীর সদস্য জনৈক বিজয় কুমার বলেছেন, মিঠুনকে তাঁদের সমাজ থেকে বিতাড়িত হয়েছে। এলাকায় প্রবেশের অধিকার নেই তাঁর। কারণ সমাজের নিয়ম-রীতি ভেঙেছে ও। এই সিদ্ধান্তে মিঠুনের পরিবারেরও সম্মতি নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। মিঠুন জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী, ছয় সন্তানকেও এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
পরে বকরগঞ্জ এলাকায় মিঠুনের মায়ের শেষকৃত্য করেন তাঁর বড় ভাই রবীন্দ্র ও ভাইপো সজন। সেখানে উপস্থিত থাকতে অনুমতি দেওয়া হয় মিঠুনকে।
মন্তব্য চালু নেই