বিধবাকে ধর্ষণের পর হত্যা করল চিকিৎসক

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিকের এক ডাক্তারের বিরুদ্ধে বিধবাকে ধর্ষণের পর হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ নিহতের বিবস্ত্র লাশ ডাক্তারের গ্রামের বাড়ি মাজড়া থেকে উদ্ধার করেছে।

ধর্ষক ডাক্তারের নাম আমিরুল ইসলাম জাফর। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।

নিহত মাজেদার বাড়ি কাশিয়ানী উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের তিতা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের হায়দার আলীর স্ত্রী ও তিন সন্তানের জননী।

থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোশারফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, গত ২২মে মাজেদা ছেলের বাসা ঢাকা থেকে কাশিয়ানীর মাজড়া গ্রামে তার ননদ মোমেনার বাড়িতে বেড়াতে যান। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে ননদ মোমেনার বাড়ি থেকে বের হন তিনি। এরপর আর বাড়িতে ফেরেননি।

আত্মীয়-স্বজনসহ সম্ভাব্য সকল জায়গায় খুঁজে না পাওয়ার একপর্যায়ে মাজড়া বাজারের লোকজন তার লাশ মো. আমিরুল ইসলাম জাফরের বাড়ির ভেতরে দেখতে পায়। পরে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করে।

এসআই আরও জানান, মাজেদার যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেলেও কিভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে এটা পরিষ্কার যে ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই