‘বিদ্যুৎ বিভ্রাট সরকারের কারসাজি’

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাটোর সমাবেশ প্রচারে বাধা দিতে, সরকার বিদ্যুৎ বিভ্রাট করে কারসাজির আশ্রয় নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘সরকার খালেদা জিয়া ও বিএনপি আতঙ্কে ভুগছে। সেজন্য সারাদেশের মানুষ যাতে বিএনপির বিশাল সমাবেশ সরাসরি গণমাধ্যম কিংবা সামাজিক মাধ্যমে দেখতে না পারে, তাই এই কারসাজির আশ্রয় নেয়া হয়েছে।’

রোববার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

সারা দেশে নিরবচ্ছিন্ন ব্ল্যাকআউট সরকারের গভীর চক্রান্তের অংশ কি না- তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন রিজভী।

তিনি বলেন, প্রায় ১১/১২ ঘন্টা সারা দেশে বিদ্যুৎ না থাকা এক রহস্যজনক বিষয়। বেগম জিয়ার জনসভায় লাখো মানুষের সমাগম কোনভাবেই এই অবৈধ ভোটবিহীন সরকার সহ্য করতে পারছে না। এর আগেও বেশকিছু ইলেকট্রনিক মিডিয়া বিএনপির জনসভার চিত্র সরাসরি দেখাতে চাইলে সরকারি নিষেধাজ্ঞায় তা সম্ভব হয়নি।

বিএনপির এ যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, ‘সরকার বিদ্যুৎ নিয়ে জনগণকে বহু ভেলকিবাজি দেখিয়েছে। তারা কুইক রেন্টালকে সাময়িক নীতি বলে ঘোষনা করে বলেছিল, ২০১৩ সালের পর থেকে বিদ্যুতের দাম কমবে। কিন্তু কুইক রেন্টালকেই স্থায়ী নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছে। আর এতে, ক্ষমতাসীন লুটেরাদের পকেট ভারি হয়েছে।’

সরকারের দুর্নীতি ও ভ্রান্ত নীতির কারণে বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে দাবি করে রিজভী বলেন, ‘বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ের নামে গরীবের পকেট কাটা ও কৃষি ধ্বংসের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’

নাটোর যাত্রাপথে আশুলিয়ায় বিএনপি নেতা-কর্মীরা যাতে বিএনপি চেয়ারপারসনকে শুভেচ্ছা জানাতে না পারে সেজন্য পুলিশ বিভিন্নভাবে বাধা দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। রিজভী বলেন, ‘পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতারসহ নানাভাবে হয়রানি করে। আশুলিয়া থেকে ছাত্রদল নেতা রাজু, জাকির ও আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও এ সময় দাবি করেন রিজভী।



মন্তব্য চালু নেই