বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের আগ মুহূর্তে যা ঘটে
ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে বাংলাদেশ। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে এখন পর্যন্ত অন্ধকারে সারাদেশ। বিকেলের দিকে আশুগঞ্জের দুটি স্টেশন চালু করা হলেও আধা ঘণ্টার মাথায় সেগুলো বন্ধ হয়ে যায়।
এই বিপর্যয়ের কারণে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) প্রথমে জানিয়েছিল ভেড়ামারা সাবস্টেশনে ভারত থেকে আমদানি বিদ্যুতের লাইনে সমস্যার কারণে বাংলাদেশে সমস্যা হয়েছে।
কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ৫০০ মেগাওয়াট হাই ভোল্টেজ ব্যাক টু ব্যাক ভেড়ামারাস্থ সাব-স্টেশনটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল হয়ে গেছে। ফলে বিপযর্য় দেখা দিয়েছে সারাদেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থায়।
শনিবার সকাল ১১টা ২৭ মিনিট ২৮ সেকেন্ডের সময় হঠাৎ করেই সাবস্টেশনে টেকনিক্যাল ক্রটি দেখা দেয় এবং বিকট শব্দে সব কিছু বন্ধ হয়ে যায়। এসময় সারাদেশের উৎপাদনে থাকা সব বিদ্যুৎকেন্দ্রও একযোগে বন্ধ হয়ে যায়। জাতীয় গ্রিডলাইন অকেজো হয়ে পড়ায় দেখা দেয় চরম বিদ্যুৎ বিপযর্য়।
বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যুৎ সঞ্চালন কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, হঠাৎ করেই ১১টা ২৭ মিনিট ২৮ সেকেন্ডের সময় ভেড়ামারাস্থ সাবস্টেশনে টেকনিক্যাল ক্রটি দেখা দেয়। এসময় লাইন বিকল হয়ে পড়ে। এসময় সারাদেশের সব বিদ্যুৎকেন্দ্রও একযোগে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে জাতীয় গ্রিডলাইন ফেল করে দেখা দেয় চরম বিদ্যুৎ বিপর্যয়।
ভেড়ামারা ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেয়ার সময় এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ ছিল। পরে ঢাকা থেকে কেন্দ্রটি চালু করার নির্দেশ দেয়া হলে আমরা চালু করি। বর্তমানে ৩নং ইউনিট চলছে। কিন্তু কোনোভাবেই জাতীয় গ্রিডে সংযোগ দেয়া যাচ্ছে না।’
সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শান্তিমনি চাকমা বলেন, ‘ভেড়ামারা সাবস্টেশনে ত্রুটি দূর করা গেছে। এখন জাতীয় গ্রিডে কাজ চলছে।’ জেলা প্রশসক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সাবস্টেশনে অবস্থান করছেন।
জানা যায়, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ভারতের আমদানি লাইনটি আবার যুক্ত করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে সিস্টেম ফেল করে।
মন্তব্য চালু নেই