বিদেশি খুনের পেছনে কারা, বের করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
বাংলাদেশে বিদেশি হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা রয়েছে, তাদের খুঁজে বের করতে গোয়েন্দাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতিসংঘ সফর শেষে ফেরার পর ওসমানী বিমানবন্দরে যাত্রা বিরতির সময় তিনি একথা বলেন বলে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমেদ কামরান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী আসার এক ঘণ্টা আগেই রংপুরে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা গুলি চালিয়ে হত্যা করে জাপানি নাগরিক হোশি কুনিওকে। তার ছয় দিন আগে ঢাকায় একইভাবে খুন হন ইতালির নাগরিক চেজারে তাভেল্লা।
সিলেটে প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাবিরতির সময় তার সঙ্গে দেখা করতে যান বদরউদ্দিন কামরানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও সংসদ সদস্যরা।
ঢাকার পথে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানিয়ে কামরান উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, তাদের আলোচনায় বাংলাদেশে বিদেশি হত্যাকাণ্ডের বিষয়টিও এসেছে।
তিনি বলেন, “যে মুহূর্তে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিশ্বের মানুষের কাছে, বিশ্বের নেতৃবৃন্দের কাছে একটা সম্মানজনক জায়গায় পৌঁছেছে, সেই মুহূর্তে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে। যেগুলো মূলত দেশের ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করার জন্যই।
“তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটুক, তা আমরা চাই না। এসবের একটা ব্যবস্থা হবে এবং কে বা কারা এগুলো ঘটাচ্ছে তা বের করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সজাগ ও সতর্ক থাকতেও দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলে কামরান জানান।
রংপুরের কাউনিয়ার পল্লীতে জাপানের নাগরিক হোসি কনিওকে মুখোশধারী তিন দুর্বৃত্ত মোটর সাইকেলে এসে গুলি চালায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানিয়েছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার কূটনীতিকপাড়া গুলশানে ইতালির নাগরিক চেজারে তাভেল্লাকে গুলি চালিয়ে মোটর সাইকেলে পালিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।
বাংলাদেশে চলাচলে নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোর সতর্কতা জারির মধ্যে তাভেল্লা হত্যাকাণ্ড ঘটে।
এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গি দল আইএস বিবৃতি দিয়েছে বলে জঙ্গি হুমকি পর্যবেক্ষণকারী একটি ওয়েবসাইট দাবি করে। তবে সরকার তা নাকচ করেছে।
মন্তব্য চালু নেই