বিত্তবানদের মাথা ধরলেই দেশের বাহিরে, গরীবদের ক্যান্সার হলেও ডাক্তার নাই?

১৯৮৯ সাল… মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির বিন মোহাম্মদ এর বুকে তীব্র ব্যথা হলে দ্রুত
তাকে কুয়ালালামপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলো।

পরীক্ষা করে ধরা পড়লো ধমনিতে চর্বি জমে ব্লক হয়ে গেছে। এই জন্য এনজিওপ্লাস্টি করতে হবে, কিন্তু এনজিওপ্লাস্টি করার সুবিধা মালয়েশিয়াতে তেমন ভাল ছিল না।

ডাক্তাররা তাকে পাশের দেশ সিঙ্গাপুরের মাউন্টএলিজাবেথ হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন।কিন্তু মাহাথির মোহাম্মদ বেঁকে বসলেন।

ডাক্তারদের বললেন, “কোন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান যদি অন্য দেশে চিকিৎসা নিতে যায়, এর অর্থই হলো তার নিজ দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা একদমই ভালো না। এটা তার ব্যর্থতা।

বিদেশে গিয়ে আমি চিকিৎসা করাতে পারলেও আমার জনগণের তো সে সামর্থ নেই। আপনারা বলুনকত দিনের ভিতর উন্নত এনজিওপ্লাস্টির প্রযুক্তি দেশে আনতে পারবেন?”

ডাক্তাররা অনেকবার তাকে বুঝালেন। কিন্তু মাহাথিরমোহাম্মদ তাঁর সিদ্ধান্তে অটল। উপায়ন্তর না দেখে মালয়েশিয়ার চিকিৎসকরাই করলেন তার হার্ট বাইপাস সার্জারী। সুস্থ হলেন তিনি।

এই ঘটনার তিন বছর পর… ১৯৯২ সালেই মাহাথির মোহাম্মদ এর চেষ্টায় স্থাপিতহয়েছিলো ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউট অফ মালয়েশিয়া। আরো দুই বার হার্ট এটাক হয়েছিল তার। প্রতিবারই তিনি চিকিৎসা নিয়েছিলেন তার নিজের প্রতিষ্ঠিত হার্ট ইনস্টিটিউটে।

একটা মানুষের ইচ্ছা, আখাংকা, প্রচেস্টা, আর মনোবলে যদি এত বড় একটা হাসপাতাল নির্মাণ করা যায় তাহলে আমরা কেন পারিনা? কেন আমাদের পাশের দেশে দৌড়াতে হয়? কেন আমাদের এত অর্থের অপচয় হয়?

আমরাও পাড়ি কিন্তু আমাদের বিশ্বাস আজ তলানিতে পড়েছে। আমাদেত ইচ্ছা আজ মরে গেছে। মন্ত্রী, বিত্তবানরা একটু মাথা ব্যাথা হলে দেশের বাহিরে আর গরীবদের ক্যান্সার হলেও ডাক্তার নাই। প্লিজ আসুন না একটি বার স্বপ্ন দেখি সোনার বাংলার। একটিবার আমাদের স্বপ্ন কে বাস্তবায়ন করি।

Aea Zisan এর ফেইসবুক থেকে সংগ্রহীত



মন্তব্য চালু নেই