ঐতিহাসিক বদর দিবসের আলোচনা সভায় পীর সাহেব চরমোনাই

বিতর্কিত শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মোঃ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, বিতর্কিত ও নাস্তিক্যবাদী-হিন্দুত্ববাদী শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে বদরের চেতনায় ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এই জিহাদে মুসলমানদের বিজয় হবে। ইসলামের চিরদুশমনরা পরাজিত হবে। সত্যপথের অনুসারী অল্পসংখ্যক রোজাদার মুসলমান বিশাল অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত মিথ্যার অনুসারী কাফের-মুশরেক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ করে সত্য-মিথ্যার চিরপার্থক্য সূচনা করেছিলেন। আমরাও বদরের চেতনায় তাগুতি ও খোদাদ্রোহী শক্তির মোকাবেলায় ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছি। তিনি বলেন, কুরআনের কথা বললে জঙ্গীবাদ ও মৌলবাদ আখ্যা দেয়া হয়। তিনি বলেন, নাস্তিক-মুরতাদ গোষ্ঠী আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ইসলাম থেকে দূরে সরাতে পাঠ্যসুচী হতে ইসলাম বাদ দিয়ে নাস্তিক্যবাদী ও হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠায় মরিয়া হয়ে উঠছে। এই সিলেবাস বাতিলে মুসলমানরা প্রয়োজনে জীবন ও রক্ত দিতে প্রস্তুত রয়েছে। রমজানের পর কর্মসুচী দিয়ে আন্দোলনর শুরু করা হবে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর ঐতিহাসিক বদর দিবসের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর গুলিস্তানস্থ কাজী বশির মিলনায়তনে নগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লালহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও শ্রমিক আন্দোলন কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, মহানগর সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব মু. আমিনুল ইসলাম, খেলাফত আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, ছাত্রনেতা নুরুল ইসলাম আলআমীন, দক্ষিণ সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, উত্তর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, দক্ষিণ সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, উত্তর সেক্রেটারী মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা, মুহা. আরিফুল ইসলাম, ফজলুল হক মৃধা, শেখ মুহা. নূরউন নাবী, হুমায়ুন কবীর প্রমুখ।

অধ্যক্ষ মাদানী বলেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই ঘোলাটে হচ্ছে। হত্যা, গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড জনজীবনকে আতকিঙ্কত করে তুলেছে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ দেশকে মুসলমান ও ইসলাম শূণ্য করতে সিলেবাসে হাত দিয়েছে। অবিলম্বে এই সিলেবাস বাতিল না করলে সর্বত্র ঈমানী আন্দোলন গড়ে উঠবে

মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ইসলামবিরোধী শক্তিগুলো মাথা চাড়া দিয়ে উঠছ। তিনি বলেন, বদরযুদ্ধের চেতনায় এসব খোদাদ্রোহী শক্তির বিরুদ্ধে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, পুরোহিতসহ কোন হত্যাকান্ডই ইসলাম সমর্থন করে না।

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, সরকার নিজেকে মুসলমান দাবী করে আবার সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস মুছেও দিয়েছে। এইভাবেই সরকার গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে বদরী চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে মানবতা ও ইসলাম বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। এ মাসেই মহান আল্লাহ তায়ালা মানবজাতির হেদায়েতের জন্য আল-কুরআন নাজিল করেছেন। আর নব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে যখন কুরআন সংশোধনের দাবী উঠে তখন আমাদেরকে মর্মাহত করে তুলে।



মন্তব্য চালু নেই