‘বিজিবি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সীমান্তরক্ষী বাহিনী হবে’
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) একদিন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সীমান্তরক্ষী বাহিনী হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিজিবি সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানাভাবে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। আমি আশা প্রকাশ করি, বিজিবি একদিন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
মুক্তিযুদ্ধে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ইতিহাস গৌরবোজ্জ্বল। ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা ওয়্যারলেসের মাধ্যমে সারা দেশে পৌঁছে দেওয়া হয়। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সুবেদার মেজর শওকত আলীসহ তিনজন সেই ঘোষণা সারা দেশে ছড়িয়ে দেন। এজন্য তাদের ধরে নিয়ে যায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। মুক্তিযুদ্ধে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে আটজন বীর উত্তম, ৩২ জন বীর বিক্রম ও ৭৭ জন বীর প্রতীক উপাধি লাভ করেন তাদের অবদানের জন্য। এ ছাড়া, অর্ধশত সীমান্তরক্ষী মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেন।
২০০৯ সালের পিলখানায় সংঘটিত বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, সেই ঘটনায় স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে অনেকেই আজ বেঁচে আছেন। আমি তাদের সঙ্গে সহমর্মিতা প্রকাশ করছি।
দেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবির ভূমিকা প্রশংসনীয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে দেশের অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আপনাদের ভূমিকা প্রশংসনীয়। বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসের সময় বিজিবির সাহসী ভূমিকা সারা বিশ্বে সুনাম কুড়িয়েছে।
বিজিবির সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের বিশ্বস্ততা পরীক্ষিত। আপনাদের প্রচেষ্টায় বিজিবি আধুনিক বাহিনীতে পরিণত হয়েছে, বিজিবির মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও সম্মান প্রদর্শন করছি। দেশ রক্ষার মহান দায়িত্ব আপনাদের ওপর অর্পিত। আশা করছি, সেই দায়িত্ব বর্তমানের মতোই সুষ্ঠু-সুন্দরভাবে পালন করে যাবেন।
তিনি বলেন, সীমান্তে চোরাচালান, মাদকদ্রব্য, নারী পাচার রক্ষায় আপনার ভূমিকা অনন্য। সীমান্তে হত্যা দুঃখজনক। তবে আপনারদের প্রচেষ্টায় সীমান্তে হত্যা অনেক কমে গেছে।
বিজিবির আধুনিকায়নের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজিবির জন্য আধুনিক বাইনোকুলারসহ আধুনিক সরঞ্জামাদি কেনা হচ্ছে। বিজিবির চারটি রিজিয়নাল ডিভিশন স্থাপন করা হয়েছে। বর্ডার সিকিউরিটি ব্যুরো স্থাপন করা হয়েছে। ৮৮তম ব্যাচে প্রথমবারের মতো ৮৭ জন নারী বিজিবি সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, ৮৯তম ব্যাচে ৯২ জন, ৯০তম ব্যাচে ১০০ জন নারী সদস্য বিজিবিতে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্যসহ শিক্ষা-দীক্ষা, বাসস্থান সবকিছুতে আমরা ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছি। আমাদের লক্ষ্য- ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা।
মন্তব্য চালু নেই